বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র একদিকে বৈরী আচরণ করছে, অন্যদিকে সহযোগিতার কথা বলছে

CMGPublished: 2023-06-06 11:35:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুন ৬: সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নে আবারও পরস্পরবিরোধী আচরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কুড়িতম শাংরি-লা সংলাপে তাইওয়ান ইস্যুতে কথাকথিত ‘ন্যাভিগেশন স্বাধীনতা’-র কথা বলেছেন এবং মার্কিন সামরিক জাহাজ তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রমের সময় চীনের কাছ থেকে ‘বিপদজনক বাধা’ পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন; অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কূটনীতিবিষয়ক সহকারী সচিব গত ৪ জুন চীন সফর করেছেন, যার ঘোষিত উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতার উপায় অন্বেষণ করা।

একদিকে বৈরিতা, অন্যদিকে সংলাপ ও সহযোগিতার তথাকথিত উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রের এহেন পরস্পরবিরোধী আচরণের সাথে সকলেই পরিচিত। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এহেন মার্কিন আচরণ দেশটির অন্যায্য কৌশলের অংশবিশেষ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র আধিপত্যবাদী তত্পরতা চালাতে অভ্যস্ত এমন এক পরাশক্তি, যার সত্যিকারের কূটনৈতিক সদিচ্ছা নেই।

বাস্তবতা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্যারাডক্সিকাল আচরণের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের বিকৃত রাজনৈতিক পরিবেশ ফুটে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ভুল করে নিজের ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই পটভূমিতে, ‘চীনের প্রতি কঠোর হওয়া’-র নীতি গ্রহণ করেছে ওয়াশিংটন। সেখানে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মানসিকতা ও সদিচ্ছাসম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব নেই বলেই মনে হয়।

বস্তুত, ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ একদিকে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ তো রাখতে চান, আবার নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে চীনের ওপর চাপিয়ে দিতেও চান। এবারের শাংরি-লা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো তথাকথিত ‘চীনের হুমকি তত্ত্ব’ প্রচার করেছে। এতে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী চিন্তা-চেতনায় কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn