বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র একদিকে বৈরী আচরণ করছে, অন্যদিকে সহযোগিতার কথা বলছে

CMGPublished: 2023-06-06 11:35:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অবস্থার সাথে এমন আচরণ সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটজনক। দুই পার্টি দর কষাকষির মাধ্যমে ঋণ-সংকটের সাময়িক সমাধান করেছে বটে, তবে সমস্যার আসল সমাধান হয়নি। ব্লুমবার্গসহ বিভিন্ন মিডিয়া জানাচ্ছে, সম্প্রতি মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চীনের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতি; তাই, দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা এবং যৌথভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার সাম্প্রতিক চীন সফরের গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন ঋণসংকট নিয়ন্ত্রণের উপায় অন্বেষণ করা। তা ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তাররোধ, এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা চালানোর প্রয়োজনও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মার্কিন পরস্পরবিরোধী নীতি দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের অনেকেই এখনও অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে শেখেননি; সহাবস্থানের নীতিও তাঁরা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না বা বুঝতে চান না। অথচ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রকে সবার আগে মনে রাখতে হবে যে, তাইওয়ান হচ্ছে চীনের তাইওয়ান; তাইওয়ান ইস্যু কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা চীনাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ চীনারা কখনই মেনে নেবে না। বিদেশি সামরিক জাহাজ চীনের সমুদ্রাঞ্চলে অবাধে চলাচল করতে পারে না। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল দেশকে ‘জাতিসংঘ সামুদ্রিক কনভেশন’ মেনে চলতে হবে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn