মার্কিন হস্তক্ষেপ এশিয়া-প্যাসিফিকের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করবে: শাংরি-লা সংলাপ বিশেষজ্ঞ অভিমত
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করার এবং সমাধানের ওপায় অন্বেষণে শুক্রবার সিঙ্গাপুরে শুরু হয়েছে ২০তম শাংরি-লা সংলাপ। তিন দিনের নিরাপত্তা সম্মেলনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধানসহ ৪৯টি দেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা অংশ নিচ্ছেন।
চীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু ‘চীনের নতুন নিরাপত্তা উদ্যোগ’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন এবং তার মার্কিন প্রতিপক্ষ, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব’ শীর্ষক একটি বক্তৃতা দেন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি ২০২২ সালে চীন কর্তৃক প্রস্তাবিত গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ- বা বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি একে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক সংঘাতের মূল কারণগুলোকে দূর করার এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও উন্নয়নের প্রচারের একটি পদ্ধতি হিসাবে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যথারীতি অভিযোগ করেন যে, দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য আরও ভাল ব্যবস্থার বিষয়ে চীন সহযোগিতা করছে না। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি দৃশ্যত চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শাংফু যে তার সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন। লয়েড অস্টিন চিরাচরিত পন্থায় ‘চীনা হুমকি তত্ত্ব আর চীনের অসহযোগিতাকে প্রধান করে তোলেন এবং অধিকতর শক্তিশালী জোট গঠনের কথা বলেন।
দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টতই দুটি বিপরীতমুখী নিরাপত্তা পন্থা খুঁজে পান।
চীনের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ও অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইয়ান চানইয়ো বলেন, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ কনসেপ্ট পেপারে বর্ণিত সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন। এটি অন্য দেশের নিরাপত্তার ব্যয়ে তার নিজস্ব নিরাপত্তা স্বার্থ অর্জন করবে না। পরিবর্তে, চীন তার নিজস্ব নিরাপত্তা লক্ষ্যগুলো অনুসরণ করে, সর্বশ্রেষ্ঠ ওপায়ে সমগ্র বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।