চীন-মধ্যএশিয়া সহযোগিতা: বিআরআই উদ্যোগে পুনরুজ্জীবিত প্রাচীন সিল্ক রোড
সহযোগিতার এ ঐতিহ্যগত ক্ষেত্রগুলি ছাড়াও, চীন এবং মধ্যএশিয়ার দেশগুলি উদ্ভাবন এবং সবুজ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভি চীন ও মধ্যএশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যাপকহারে বাড়িয়েছে। দেশগুলো তাদের শহরগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য সরাসরি ফ্লাইট চালু করার পাশাপাশি, বিআরআই কাঠামোর মধ্যে বহু অবকাঠামো প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চীন-কিরগিজস্তান-উজবেকিস্তান রেলপথের কিরগিজ বিভাগে সহযোগিতার একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে চীন, কিরগিজস্তান এবং উজবেকিস্তান, যা ইউরেশীয় মহাদেশে একটি পরিবহন করিডোর নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
মধ্যএশিয়া হয়ে চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন, চীন-কাজাখস্তান হরগোস ইন্টারন্যাশনাল ফ্রন্টিয়ার কো-অপারেশন সেন্টার এবং চীন-কাজাখস্তান ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিক বেস এবং চীনের পূর্বাঞ্চলীয় লিয়ানইউনকাং বন্দরে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক বাজারের দরজা খুলে দিতে সাহায্য করেছে।
শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি এ বিষয়টিতে আবা্রও জোর দিয়ে বলেন, বিশ্বের একটি আন্তঃসংযুক্ত মধ্যএশিয়া প্রয়োজন। অনন্য ভৌগোলিক সুবিধা নিয়ে ইউরেশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার এবং বিশ্ববাণিজ্যে অনন্য অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে মধ্যএশিয়ার।
বিআরআই উদ্যোগের অধীন প্রকল্পগুলো কেবল ছয়টি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে উন্নীত করেনি, বরং সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের আরও কাছাকাছি এনেছে।
কিরগিজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং আলা-তু ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক কুবানিচবেক তাবালদিভ বলেন, প্রাচীন সিল্ক রোডের ধারে মধ্য এশিয়া অবস্থিত এবং এই অঞ্চলের সব দেশই বিভিন্ন উপায়ে বিআরাই-উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে। মধ্য এশীয় অঞ্চলের সমস্ত দেশ চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা সকল পক্ষকে উপকৃত করছে’।