বাংলাদেশের গণমাধ্যমে চীনের দুই অধিবেশন ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের খবর ফলাও প্রচার
গত ৫ মার্চ থেকে চীনের জাতীয় গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন-সিপিপিসিসি ও জাতীয় গণকংগ্রেস-এনপিসির বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়। এ দুটি অধিবেশনকে একসঙ্গে ‘দুই অধিবেশন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
চীন ও গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘দুই অধিবেশনে’র কার্যক্রম এবং এতে চীনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও ফলাও প্রচার পেয়েছে। বাংলাদেশে প্রধান সব জাতীয় দৈনিক, বেতার-টেলিভিশন, অনলাইন পোর্টালে দুই অধিবেশনের সচিত্র খবর প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে। অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন থেকেই এ দুটি সম্মেলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ আসে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে।
এ সব খবর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রতিরক্ষা ব্যয়, তৃতীয় মেয়াদের সি চিন পিংয়ের চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়া, তার সামনে চ্যালেঞ্জ এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন সরকার গঠন।
সিপিপিসিসি’র অধিবেশন শুরু হয় ৫ মার্চ। ওই দিনই জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের আন্তর্জাতিক পাতায় এ সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম করে ‘ক্ষমতার লাগাম সি’র হাতেই; আসছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী’।
সংবাদটিতে চীনের প্রায় তিন হাজার আইনপ্রণেতার উপস্থিতিতে এনপিসির বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে প্রেসিডেন্ট সি’কে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই।
এ ছাড়া লি ছিয়াং যে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে কেতাদূরস্ত ও ভালো পরিচালক হিসেবে প্রশংসা করা হয়। তিনি চীনের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং দেশের ব্যবসায়ী মহলে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সদ্য-বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াংয়ের সরকারি কর্মপ্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করে। এ সব সংবাদে চলতি বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ নির্ধারণে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করা হয়।