চীন যে-ভাবে জাতিসংঘের শক্তিশালী ভিত্তি-দেশ হয়ে উঠছে
২০১৭ সালে জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে মূল বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং জানান, চীন তার ১.৩ বিলিয়নের বেশি মানুষের মৌলিক জীবনযাত্রার চাহিদা পূরণ করেছে এবং ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে, যা মানবাধিকারের বৈশ্বিক কারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
এশিয়ায় লাওস, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতা করেছে চীন। আফ্রিকান দেশগুলিকে জল সংরক্ষণের অবকাঠামো তৈরিতে সাহায্য করা, কৃষি সহযোগিতার জন্য প্রদর্শনী অঞ্চল স্থাপন করাসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে চীন।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, চীন অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষি এবং চিকিৎসা পরিচর্যায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সহায়তা প্রকল্প পরিচালনা করেছে।
লাতিন আমেরিকায়, চীন প্রাপক দেশগুলোর স্থানীয় জনগণকে দারিদ্র্য দূর করতে সহায়তা করার জন্য কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন কেন্দ্র তৈরি করেছে।
চীনের দারিদ্র্য নিরসনের অভিযানের বিষয়ে মন্তব্য করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই অর্জনগুলোই, দারিদ্র্যের কষাঘাত কমানোর জন্য সবচেয়ে বড় অবদান।
এ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা এবং গত তিন বছর ধরে কোভিড মহামারি মোকাবেলায় চীন একক দেশ হিসেবে এবং জাতিসংঘের সহযোগী সদস্য দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে- যার প্রায় সবকটিই জাতিসংঘ সমর্থিত।
আর এ সবকিছুই চীনকে জাতিসংঘের একটি ভিত্তি-দেশ হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
মাহমুদ হাশিম
ঢাকা স্টেশন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার।