চীন যে-ভাবে জাতিসংঘের শক্তিশালী ভিত্তি-দেশ হয়ে উঠছে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশের সভাপতি চাবা করোসি গত ১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি চীন সফর করেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাংয়ের আমন্ত্রণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে আসেন। সফরকালে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াংসহ চীনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সব অনুষ্ঠানে করোসি চীনকে জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার তথা ভিত্তি-দেশ হিসেবে অভিহিত করেন।
শুধু এবারেই নয়, গত সেপ্টেম্বরে চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা অনুরূপ বক্তব্য দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের এ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার এমন বক্তব্য তো কথার কথা নয়। চীনকে জাতিসংঘের ভিত্তি-দেশ বলে করোসির মন্তব্যের যথার্থ কারণ রয়েছে।
চীন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং জাতিসংঘের চার্টারে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। চীন দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে আসছে এবং আরও শান্তিপূর্ণ ও উন্নততর বিশ্ব নির্মাণে সহায়তা করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ স্থায়ী শান্তির জন্য সকলের প্রত্যাশা বহন করে। প্রাচীনকাল থেকেই চীন বিশ্বাস করে যে শান্তি সবচেয়ে মূল্যবান।
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার পর থেকে, চীন কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা, ইরানের পারমাণবিক সমস্যা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুসহ প্রধান আঞ্চলিক হটস্পট সমস্যাগুলোর রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।
আজকের বিশ্বে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন ২০২২’র বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ-জিএসআই প্রস্তাব করেন।