চীন যে-ভাবে জাতিসংঘের শক্তিশালী ভিত্তি-দেশ হয়ে উঠছে
জিএসআই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি মানবজাতির শান্তি-সংকট সমাধানের জন্য চীনা প্রজ্ঞার প্রস্তাব দেয় এবং বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনা সমাধানের পথ দেখায়।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনও মনে করেন,বিশ্ব শান্তির নির্মাতা, বিশ্ব উন্নয়নে অবদানকারী, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং জনসাধারণের পণ্য সরবরাহকারী হওয়ার চীনের ধারণা জাতিসংঘের সনদের আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্কে প্রথমবারের মতো গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ-জিডিআই ধারণাটি তুলে ধরেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য হল অগ্রাধিকার হিসাবে উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা, একটি জন-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, সকলের জন্য সুবিধা, উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়ন, মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান।
জিডিআই প্রাথমিক ফলাফল এরইমধ্যে পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি দেশ এবং জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জিডিআই-কে সমর্থন করেছে এবং প্রায় ৭০টি দেশ জিডিআই-এর বন্ধুদের গ্রুপে যোগ দিয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আরেকটি বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-বিআরআই ১০ বছর আগে প্রস্তাবিত হওয়ার পর থেকে জনকল্যাণ ও সহযোগিতার প্রচারের জন্য একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এটি বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ দেশ এবং এক তৃতীয়াংশ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক নাটালিয়া কানেম বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ায় চীনের উন্নয়ন ও অবদান অনেক দেশকে উপকৃত করবে।