‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়?
জুন ২৮: গত ২৬ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-৭ গোষ্ঠীর শীর্ষসম্মেলনে ‘বিশ্বের অবকাঠামোর অংশীদারিত্বের সম্পর্ক’ বা পিজিআইআই ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণায় তিনি জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলোর সঙ্গে ২০২৭ সালের আগে বিশ্বের অবকাঠামো খাতে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করার কথা বলেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করবে।
শুনে মনে হয় এই ঘোষণা সত্যিই বড় একটি পরিকল্পনা। তবে ভেবেচিন্তে বোঝা যায়, এর অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং এটি একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
প্রথমে, পরিকল্পনার উদ্দেশ্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া যাক। ভাষণে বাইডেন চীনের নাম উল্লেখ না-করলেও মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা জ্যাক সুল্লিভান স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, এটি চীনাদের দেওয়া জিনিসের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে এবং বিকল্প একটি বাছাই হতে পারে।
বহির্বিশ্ব সাধারণত মনে করে যে, তথাকথিত পিজিআইআই চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগকে প্রতিহত করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও এমনটি করেছে।
এক বছর আগে জি-৭ গোষ্ঠীর শীর্ষসম্মেলনে তথাকথিত ‘বিল্ড ব্যাক এ বেটার ওয়ার্ল্ড’ বা বিবিবিডাবলিউ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবকাঠামো খাতের প্রয়োজনে ৪০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হবে। সেই সময় বাইডেন বলেছিলেন যে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের চেয়ে এই পরিকল্পনাটি আরো ভালোভাবে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো খাতে চাহিদা মেটাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে দলাদলির কারণে পরিকল্পনাটি প্রায় বাতিল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
তাই সহজেই দেখা যায়, বিবিবিডাবলিউ বা পিজিআইআই, যাই হোক, উত্থাপনের শুরুর উদ্দেশ্যও ছিল নোংরা। মার্কিন রাজনীতিবিদরা অবকাঠামো নির্মাণের অজুহাতে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগকে ধোঁকা দেওয়া ও নাশকতা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং রাজনৈতিক অবস্থান দখল করেছে। তারা চীনের ‘বন্ধু বলয়’ সম্প্রসারণে ঈর্ষান্বিত। তবে তারা থামাতে অক্ষম, তাই তাদের উদ্বেগ ও দুর্বলতা লুকানোর জন্য কিছু নতুন শব্দ ও ধারণা উদ্ভাবন করা দরকার।