বাংলা

‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়?

CMGPublished: 2022-06-28 15:17:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বিশ্বের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পুঁজির যোগান। পিজিআইআইতে অর্থ কোথা থেকে এসেছে? যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আগামী ৫ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চাঁদা, ফেডারেল তহবিল এবং ব্যক্তিগত পুঁজি বিনিয়োগ, অন্য কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত মার্কিন ডলার- সম্ভবত বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক, উন্নত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেবে। এএফপি মনে করে, এই পরিকল্পনার পুঁজি প্রধান ব্যক্তিগত পুঁজি বিনিয়োগকারীদের থেকে এসেছে। তাই তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা, জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্যদেশগুলোর উচ্চ মানের মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীনসহ নানা উপাদানের কারণে তথা পিজিআইআই যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি শূন্য কথা হতে পারে বলে মনে করে সিএমজি সম্পাদকীয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত্ যে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগকে শতাধিক দেশ স্বাগত জানিয়েছে। শুধু ফাঁকা কথা বললেই চলবে না; এর পিছনে রয়েছে বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নের সুযোগ ভাগাভাগি করা এবং পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়নের সদিচ্ছা, প্রযুক্তি, আকার ও গতিসহ নানা দিকে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর দশাধিক বছরের শক্তির জমা এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্রকল্পে চীনের পুঁজি দেওয়া।

বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের নয় বছরে পার্শ্ববর্তী দেশের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনছে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের কাঠামোতে পরিবহন-সংক্রান্ত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সালে প্রতি বছর বিশ্বের জন্য ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা সৃষ্টি হবে; যা বিশ্বের জিডিপি’র ১.৩ শতাংশ। এর ৯০ শতাংশ অংশীদারি দেশগুলোই পাবে; নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলো আরো বেশি কল্যাণ পাবে। ২০১৫ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৭৬ লাখ জনগণ চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে এবং ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ মধ্যমানের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে।

বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে অবকাঠামো খাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পুঁজির বিশাল অভাব দেখা যাচ্ছে। মার্কিন রাজনীতিবিদরা প্রকৃত পুঁজি দিয়ে সাহায্য করলে তা ভালো ব্যাপার। তবে, যদি তারা পরিকল্পনার মাধ্যমে নিষ্ফল খেলা খেলতে চায়, তাহলে নতুন ধারণা সৃষ্টি করলেও অন্যদের প্রতারিত করতে পারে না। শুরু থেকেই তা ব্যর্থ হবে বলে সিএমজি সম্পাদকীয় মনে করে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn