মহামারির হুমকি ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে দেশ
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়েছে। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের হার ৫ ভাগ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন ‘চতুর্থ ঢেউয়ের’। পাশাপাশি দেশে আরেকটি ডলার সংকট তথা মূল্যস্ফীতির আশংকা করছেন আর্থিক বিশ্লেষকরা। আর এই সংকটের জন্য তারা দায়ী করছেন মার্কিন মুদ্রানীতিকে। মহামারীর প্রকোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি-নির্ধারণী সুদহার বৃদ্ধির ফলে পরোক্ষভাবে আরও ক্ষতির শিকার হবে আমদানি-রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত সাধারণ মানুষ।
মহামারীর সংকট সম্পূর্ণ কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ। গেল তিন মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণের হার এক শতাংশের কম থাকলেও গত এক সপ্তাহের তা ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ গণমাধ্যমে জানান- এর মানে হচ্ছে দেশে করোনার নতুন সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। তাই এখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগাম সর্তকতা হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এখন থেকেই কঠোরভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং দ্রুত বুস্টার টিকা দেওয়ার হার বাড়াতে হবে। তাহলে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাবে।
গত শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৪৩৩জন রোগীর খবর পাওয়া যায়। একই সময়ে পজিটিভিটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.২৭% যা গত সাড়ে তিন মাসের সর্বোচ্চ। তবে সংক্রমণ বাংলাদেশ গত কয়েক সপ্তাহে কোন মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়। সেই বছরের ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু ঘটে। এরপর থেকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তবে সাত মাস পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হতে শুরু করে। কিন্তু পরের বছর মার্চে দেশব্যাপী ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়।