প্যারিস অলিম্পিক গেমসে স্বর্ণজয়ী চীনা ক্রীড়াবিদদের কথা
জানা গেছে, ২০২৩ সালে হুয়াচং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া একাডেমির ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের অনার্স শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হন চেং ছিন ওয়েন। খেলোয়াড় সুন মেং ইয়া ২০২২ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। নারীদের ডাইভিংয়ে চ্যাম্পিয়ন ছাং ইয়া নি ২০২০ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
অন্যদিকে, প্যারিস অলিম্পিক গেমসের টেবিল টেনিস মিক্সড ডাবলস চ্যাম্পিয়ন ওয়াং ছু ছিন এবং সুন ইং শা বেইজিংয়ের হাইতিয়ান এলাকার চংকুয়ানছুন ৩ নম্বর প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিজেদের মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তাঁরা ‘অস্থায়ী ক্রীড়া শিক্ষক’ হিসেবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বিভিন্ন করণীয় তুলে ধরেন।
বস্তুত, ছোটোবেলায় ওয়াং ছু ছিন এবং সুন ইং শা টেবিল টেনিস বা পিংপং খেলার পেশাদার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে তাঁরা জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে চীনের পক্ষ থেকে অলিম্পিক গেমসে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। তাঁদের গল্পের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে পেরেছে যে, একজন পেশাদার খেলোয়াড় হতে চাইলে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে-কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে; যে-কোনো ব্যর্থতাকে ভয় করা চলবে না, সাহসের সাথে স্বপ্নের বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
অলিম্পিক গেমসে পিংপং খেলার মজাদার মুহূর্ত দেখানোর জন্য দু’জন খেলোয়াড় এ বিশেষ ক্রীড়া ক্লাসে পিংপং বল সার্ভ করার পদ্ধতি শেখান। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের সাথে পিংপং খেলেন এবং ছাত্রছাত্রীদের র্যাকেট নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি বুঝিয়ে দেন। তাঁদের মজাদার শেখার পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করে। ক্লাস শেষ করার পর, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছেন ওয়াং ছু ছিন এবং সুন ইং শা। তাঁরা চীনা ক্যালিগ্রাফি দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছে; আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতে এই দু’জন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে চীনের জন্য আরও বেশি স্বর্ণপদক অর্জন করবেন।