চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-স্পোর্টস
এ সম্পর্কে চীনের শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও সম্প্রচার একাডেমির অধ্যাপক স্যু চিয়ান বলেন, বর্তমানে চীনে দক্ষ ই-স্পোর্টস ব্যক্তিত্বের অভাব প্রকট। এর সাথে চীনা সমাজে ই-স্পোর্টসের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অন্যান্য ক্রীড়ার সাথে ই-স্পোর্টসের তুলনাটা একটি বড় ইস্যু। চীনারা ই-স্পোর্টসের ব্যাপারে এখনও সন্দিহান। অনেকে মনে করেন, ই-স্পোর্টস মানে গেমস, যা ভুল ধারণা। এটা ঠিক যে, কোনো কোনো ধরনের কম্পিউটার গেমস ই-স্পোর্টসের অন্তর্ভুক্ত, তবে সকল গেমস ই-স্পোর্টস নয়।
চীনের শানতুং ক্রীড়া একাডেমির মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তি শাখা একাডেমির উপ-প্রধান ইয়ান হং ছিয়াও বলেন, একটি ক্রীড়া হিসেবে ই-স্পোর্টসের অন্য ঐতিহ্যিক ক্রীড়ার সাথে মিল রয়েছে। যেমন, নির্দিষ্ট সময় ও নিয়মের অধীনেই ই-স্পোর্টসে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট ক্রীড়াবিদরা।
এবার হাংচৌ এশিয়ান গেমসে ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতা দাবা ইভেন্টের মতো সমান মর্যাদা পায়। বর্তমানে ভার্চুয়াল বাস্তবতা আর সিমুলেটেড ক্রীড়া ধীরে ধীরে এ খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।
চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ই-স্পোর্টস প্রশিক্ষণের পথে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে দিতে হবে। এতে আরও বেশি দক্ষ ও উপযুক্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। ২০১৯ সালে চীনের শানতুং ক্রীড়া একাডেমি প্রথম দফায় ই-স্পোর্টস বিষয়ে স্নাতক শিক্ষার্থী ভর্তি করে। সেটি ছিল চীনের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ই-স্পোর্টস মেজর। চার বছর পর প্রথম দফার ই-স্পোর্টস শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হয়।
তবে, এখনও চীনে উচ্চশিক্ষা খাতে ই-স্পোর্টস একটি মেজর হিসেবে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। পরিসংখ্যান অনুসারে, চীনে ই-স্পোর্টস ও প্রশাসন মেজর চালু করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মাত্র ৫টি আর কলেজের সংখ্যা ১৬৫টি। এদের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মেজরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে। এর পিছনের কারণ বিশ্লেষণ করে শিক্ষক ইয়ান বলেন, কলেজ পর্যায়ে ই-স্পোর্টস প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে পেশাদার নির্দেশনার অভাব রয়েছে, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের ধরণও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি আছে দক্ষ শিক্ষকের অভাব। তাই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা তেমন ভালো শিক্ষা পায় না। বিশেষ করে, যে সকল শহর উন্নয়নের দিক দিয়ে খানিকটা পিছিয়ে আছে, সে-সব শহরে ই-স্পোর্টস শিক্ষাও দুর্বল।