বেইজিং অ্যারোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিশ্ববিদ্যালয় তথা বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সু তোং লিনের গল্প
সু’র দৃষ্টিতে শিক্ষকের দায়িত্ব কেবল ছাত্রছাত্রীদের কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞান দেওয়া নয়, বরং তাদের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে গবেষণায় উত্সাহিত করা ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনুপ্রাণিত করা শিক্ষকের দায়িত্ব। তিনি সবসময় তরুণ শিক্ষকদের বলেন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অধ্যাপক সু সবসময় ক্লাসে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র ও জ্ঞানের যৌক্তিক বিশ্লেষণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তা-গবেষণা করতে উত্সাহিত করেন।
ডাইভারজেন্স সূত্র ব্যাখ্যা করার সময় তিনি বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন এবং জটিল সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রে উপযুক্ত মডেল বেছে নেন। জটিল সমস্যা মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশ্লেষণ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা তাঁর সহায়তা ও পরামর্শে সংশ্লিষ্ট সূত্রের ডেরিভেশন প্রক্রিয়াও বুঝতে সক্ষম হয়, যা তাদের অনুসন্ধান ও গবেষণার দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক।
ক্লাসের ত্বাত্তিক জ্ঞান ও সে জ্ঞানের অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব দেন অধ্যাপক সু। তিনি শাস্ত্রীয় পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা, পরীক্ষা ও প্রকৌশল ইস্যুর ভিত্তিতে ‘শিক্ষার নমূনা’ তৈরি করেন। শিক্ষকদের নিয়মিত জ্ঞানচর্চা ও নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট থাকা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
নিয়মিত পড়াশোনার বাইরেও যাদের আগ্রহ আছে, তেমন শিক্ষার্থীদের তিনি গবেষণায় অংশ নিতে উত্সাহ দেন। এভাবে তাঁরা সংশ্লিষ্ট জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করার কৌশলও শিখতে পারে। মৌলিক তত্ত্ব, সেরা গবেষণার নমুনা, ও ভালো শিক্ষদের সমন্বয়ে তিনি অনার্স, মাস্টার্স ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করে থাকেন। তিনি গবেষণা ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা সৃজনশীল প্রস্তাব ও চিন্তাধারা সংগ্রহ করে।