বেইজিং অ্যারোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিশ্ববিদ্যালয় তথা বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সু তোং লিনের গল্প
গত সপ্তাহে আমরা বেইজিং ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট তথা ২০২৩ সালের সেরা শিক্ষকদের একজন হিসেবে মনোনীত বেইজিংয়ের ইয়ু হুই সিয়াংয়ের গল্প তুলে ধরেছি। আজকের অনুষ্ঠানে আরেকজন সেরা শিক্ষকের কথা বলব। তিনি হলেন বেইজিং অ্যারোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্স বিশ্ববিদ্যালয় তথা বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সু তোং লিন।
বেইজিং অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্স ইউনিভার্সিটি চীনের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। চীনের মহাশূন্য ও নভোযান গবেষণায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। শিক্ষক সু তোং লিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের শিক্ষক এবং চীনের প্রকৌশল একাডেমির শিক্ষাবিদ।
বর্তমানে তিনি চীনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিকসংক্রান্ত প্রধান পরীক্ষাগারের পরিচালক। চীনের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনি ২০২২ সালে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের মশাল বহনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি মনোযোগ দিয়ে ক্লাসরুমের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক জ্ঞান বিতরণ করেছেন। তাঁর প্রশিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা চীনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক গবেষণা খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিকর্মী ও গবেষকে পরিণত হয়েছে।
অধ্যাপক সু’র মেজর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক গবেষণা। তাই, গত ৩০ বছর ধরে তিনি অনার্স শিক্ষার্থীদের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তত্ত্বসহ বিভিন্ন বিষয় শেখাচ্ছেন। শেখানোর পাশাপাশি চীনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক গবেষণায় দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উত্তরাধিকারে দেশপ্রমের প্রমাণ রাখেন।
যদিও তিনি একজন সিনিয়ার শিক্ষক, তবে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে তিনি ব্যাপক আগ্রহী। তিনি সবসময় নতুন পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয় পড়াতে চেষ্টা করেন। যখন ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেন, তখন শিক্ষক সু অনেক গম্ভীর থাকেন; তিনি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রচেষ্টা চালান। শিক্ষার্থীদের আত্মউন্নয়নের প্রতি তিনি অধিক নজর দেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা উন্নত করার প্রয়াস চালান। তাঁর উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুবই প্রিয়।