ভিন্ন পেশায় যুবকদের একদিনের চর্চার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গ
বন্ধুরা, যদি একদিন আপনার অন্যদের জীবনের অভিজ্ঞতা অনুভব করার সুযোগ আসে, তাহলে আপনি কি তাদের মতো জীবন কাটাবেন? সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন পেশার যুবকদের জন্য এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। তারা ভিন্ন পেশায় একদিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং সে অনুভূতি সবার সাথে শেয়ার করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তাদের বিশেষ অভিজ্ঞতা ও চর্চা নিয়ে কথা বলব।
লি সিন বেইজিং সিয়েহ্য হাসপাতালের একজন নার্স। একটি গাড়ি-দুর্ঘটনায় তিনি মেরুদন্ডে আঘাত পান। তখন থেকে তিনি আর স্বাভাবিক মানুষের মতো হাঁটতে পারেন না। এখন তাকে হুইলচেয়ারে বসে চলাচল করতে হয়। দুর্ঘটনার পর তাঁর মানসিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। অনেক দিন ধরে মানসিক চিকিত্সা গ্রহণের পর তিনি ধীরে ধীরে বাসা থেকে বের হতে শুরু করেন এবং সাঁতার কাটা, সার্ফিং করা, ও প্যারাসুটিংসহ বিভিন্ন চরম খেলাধুলা শিখতে শুরু করেন। এবার জীবনের নতুন অভিজ্ঞতার চর্চায় তিনি পানির নিচে মারমেইড হিসেবে কাজ করেন। পানির নিচে মারমেইড এক ধরনের ক্রীড়া, যা মাত্র কয়েক বছর হলো চীনে চালু হয়েছে। এ ক্রীড়ার প্রশিক্ষক চাং মেং ডাইভিং পছন্দ করতেন। এ কারণেই মূলত তিনি মারমেইড ক্রীড়ায় অংশ নেওয়া শুরু করেন। তবে পরে তিনি এ ক্রীড়ার প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি টানা ৫ বছর ধরে মারমেইড প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তবে নার্স লি সিনের জন্য এটি নতুন চ্যালেঞ্জ। চাং মেংও এর আগে কখনও কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধীকে প্রশিক্ষণ দেননি।
সংশ্লিষ্ট তাত্ত্বিক ক্লাসে শেখার পর, লি সিন মারমেইডের কাপড়চোপড় পরে, ১২ মিটার গভীর সুইমিং পুলের কাছে পৌঁছান। গভীর পুল দেখে তিনি প্রথম খানিকটা ভয় পান। তবে প্রশিক্ষক চাংয়ের সাহায্যে ধীরে ধীরে সাহস ফিরে পান লি সিন। দীর্ঘকাল ধরে হুইলচেয়ারে বসে থাকার কারণে পানির নিচে তাঁর বিভিন্ন ভঙ্গি ঠিক করা একটু কঠিন ব্যাপার। তবে, টানা ৩ ঘন্টা চর্চার পর তিনি পানির নিচে নিঃশ্বাস বন্ধ রাখা এবং সঠিক সাঁতারের ভঙ্গি শেখেন। অবশেষে তিনি একজন সুন্দর মারমেইডে পরিণত হন।