প্রাচীনকালে চীনারা কিভাবে কাবাব খেতো? জাদুঘর গেলে জানা যাবে বিস্তারিত
সম্প্রতি চীনের শানতুং প্রদেশের জিবো শহর ইন্টারনেটে ব্যাপক সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। কারণ, এ শহরের ঐতিহ্যিক মজাদার কাবাব চীনা পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের ছুটিতে গাড়ি বা ট্রেনে চেপে জিবোতে কাবাব খেতে যান। আসলে, চীনের বিভিন্ন এলাকায় এখন কাবাবের রেস্তোরাঁ দেখা যায়। একেক প্রদেশের কাবাব রান্নার পদ্ধতি ও স্বাদ একটু আলাদা। যেমন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিনচিয়াংয়ে লাল উইলো দিয়ে খাঁসির মাংসের কাবাব তৈরি করা হয়; কুয়াংতুং প্রদেশে বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার রসুন সসের সাথে মিশিয়ে কাবাব তৈরি করা হয়; ইয়ুননান প্রদেশের তৌফু কাবাবও বিখ্যাত। তাহলে জিবো শহরের কাবাব কেন এতো জনপ্রিয়? তাদের কাবাবের বৈশিষ্ট্য কী? ইন্টারনেটের ভিডিও থেকে দেখেছি, এখানকার কাবাব কেবল মাংস দিয়ে তৈরি নয়, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার, রুটিসহ যে-কোনো খাবার জিবোতে কাবাব পদ্ধতিতে রোস্ট করা যেতে পারে। দোকানওয়ালা প্রত্যেক টেবিলের সামনে একটি ছোট সাইজের গরম চুলা দেন, ছোট সাইজের কাবাবগুলো অর্ধেক বেকড করার পর ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন দোকানওয়ালা। গরম চুলায় সেগুলো কয়েক মিনিট রোস্ট করার পর তা খাওয়া যায়। বেশ মজাদার। মরিচ ও জিরাসহ বিভিন্ন মশলা ও সসের সাথে মিশিয়ে শানতুং প্রদেশে রুটির সঙ্গে কাবাব খাওয়া অনেক মজাদার।
আসলে দুই হাজার বছর আগে, প্রাচীন হাং রাজবংশ আমলে, চীনারা কাবাব খেতে শুরু করে। আজকের অনুষ্ঠানে জাদুঘরে কাবাবের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শনী থেকে চীনাদের কাবাব খাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব।
চীনের চিয়াংসু প্রদেশের স্যুচৌ শহরের জাদুঘরে ২২০০ বছর আগের, হান রাজবংশ আমলের, বারবিকিউ সরঞ্জামের ছবি প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এ ছবিতে প্রাচীনকালে চীনাদের বারবিকিউ রান্নার ইতিহাস প্রতিফলিত হয়। এ সম্পর্কে স্যুচৌ জাদুঘরের চীনা চারুকলা হলের উপপরিচালক ছেন চাও বলেন, স্যুচৌ জাদুঘরের প্রধান প্রদর্শনী হলে একটি বেকওয়্যার দেখা যায়। সেটি খুব সম্ভবত প্রাচীনকালের চীনাদের কাবাব তৈরির সরঞ্জাম। এখানে কয়েকটি খোদাই করা পাথরের ছবি রয়েছে। সে ছবিগুলো থেকে দেখা যায়, লোকেরা মজা করে কাবাব খাচ্ছে।