স্প্যানিশ বাস্তুবিজ্ঞানী খাং মুসা: চীনা বন্ধুদের সঙ্গে মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সুরেলা সহাবস্থানের পথ অন্বেষণ করেন
খাং মুসা স্পেনের একজন বাস্তুবিজ্ঞানী। ২০০৬ সালে, তিনি গবেষণা করার জন্য প্রথমবারের মতো চীনের ইউননানের শিশুয়াংবান্নায় আসেন। ১৪ বছর পর যখন তিনি আবার এখানে আসেন, তিনি এখানকার পরিবর্তনগুলির কারণে গভীরভাবে আকৃষ্ট হন এবং তখন থেকে এখানেই থাকছেন। ঠিক কি কি বিষয় তাকে আকর্ষণ করেছিল? এ বছর চীন ও স্পেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। আসুন স্প্যানিশ বন্ধু খাং মুসার গল্প শুনি।
এটি ইউননান প্রদেশের শিশুয়াংবান্না প্রিফেকচারের চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সের ট্রপিক্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন। সারা বছরই গাছ-গাছালি আর সবুজ ঘাসে ভরপুর থাকে বোটানিক্যাল গার্ডেন। তিন বছর ধরে, খাং মুসা এখানে বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈচিত্র্য ও সুরক্ষা গবেষণা গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে কাজ করছেন, গবেষণা ও শিক্ষাদানে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি। যা তিনি ভালবাসেন। তিনি বলেন,
“আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি, খুব সকালে উঠে অফিসে যাই। আমি ঠিক বোটানিক্যাল গার্ডেনে বাস করি এবং আমার প্রতিদিনের যাতায়াত খুবই আনন্দদায়ক, আমার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আমার অফিসে হেঁটে বা বাইক চালিয়ে যাওয়া যায়। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গাতেই আপনাকে প্রকৃতিতে বাস করার সুযোগ দেবে না। একই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য এখানে অনেক সুবিধা রয়েছে।”
আসলে প্রফেসর খাং মুসা এর আগেও চীনে এসেছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি চীন ও ইউননানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। সে সময়, তিনি তার ডক্টরেট থিসিস সম্পূর্ণ করতে শিশুয়াংবান্না আসেন। দশ বছর আগের তুলনায় এখানকার পরিবর্তন তাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন,
“আমি যখন প্রথম এখানে আসি, তখন গবেষণা কেন্দ্রটি অনেক ছোট ছিল, যেখানে গবেষণার সুবিধা, গবেষণাগার এবং অবকাঠামো অনেক কম ছিল। বর্তমান গবেষণা ক্ষমতা, গবেষক, এবং গবেষণা তহবিল অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ গবেষক এসেছেন। তারা ভাল শিক্ষিত, তারা সাবলীল ইংরেজি বলতে পারে, যা আমার তুলনায়ও ভাল। তারা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত। এটি চীনের জন্য খুবই ইতিবাচক, কারণ তরুণরা ভবিষ্যতে দেশের সাথে নিজেদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রস্তুত।”