বাংলা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাসের প্রতি গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে

CMGPublished: 2023-03-20 15:30:44
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

স্কুলের শিক্ষকদের জন্যও ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ নতুন বিষয়। শিক্ষিকা রান লিং লি টানা ১০ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ তাঁর কাছেও নতুন একটি ধারণা। তিনি বলেন, অতীতে কেবল ছাত্রছাত্রীদের তাত্ত্বিক শিক্ষা দেওয়া হতো। আর এখনকার শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখানো হয়, তাদের সৃজনশীল হতে উত্সাহ দেওয়া হয়। তাদের নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করা এখনকার শিক্ষকদের দায়িত্ব।

থ্রিডি প্রিন্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রানের মতো অনেক শিক্ষকের জন্যই নতুন জিনিস। তাই ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ ব্যবহারে অভ্যস্ত করতে দেশে শিক্ষকদের জন্য ৪৬টি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়। এভাবে শিক্ষকরা সর্বপ্রথম এই বিশেষ ক্লাসরুম ব্যবহারের পদ্ধতি নিজেরা শিখে নেন, পরে তারা শিক্ষার্থীদের শেখান।

ফিউচার ক্লাসরুম সম্পর্কে টেনসেন্ট কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চেং চং বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাচ্চাদের বিজ্ঞানসম্মতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শেখানো হয়। এতে তাদের কল্পনাশক্তি ও কৌতুহল বাড়ে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহও বাড়ে। চীনের তুলনামূলকভাবে উন্নত শহরের বাচ্চাদের সাথে চিন্তাভাবনা বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও উন্নত হচ্ছে।

বস্তুত, ফিউচার ক্লাসরুম কেবল একটি ক্লাসরুম নয়, বরং বাচ্চাদের সৃজনশীলতার উত্সস্বরূপ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। তাই এমন ক্লাসরুমের মাধ্যমে বাচ্চাদের জন্য উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা যায় এবং তাদের মানসিকতা ও চিন্তাধারারও ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো যায়।

গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ফিউচার ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। এটি চীনের গ্রামাঞ্চলের সাথে বড় বড় শহরের শিক্ষার ব্যবধান কমিয়ে আনার একটি পদক্ষেপও বটে। এভাবে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এবং তাঁরা বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাধারা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।

首页上一页123456全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn