বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাসের প্রতি গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে
ওয়েন জেলার ২ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের ‘ফিউচার ক্লাসরুমে’ বহুমুখী মিডিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা, ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত লাইভ বা রেকর্ডিং সরঞ্জাম, ভিআর প্রযুক্তি, থ্রিডি প্রিন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে হার্ডওয়ার প্রোগ্রামিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, লেজার কাটিং, এআই রবার্টসহ বিভিন্ন কোর্স চালু করা সম্ভব হয়েছে।
স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্লাসের শিক্ষক তুং ওয়েন ছাও ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ চালুর কথা স্মরণ করে বলেন, বাচ্চারা প্রথমবারের মতো এতো উন্নত ক্লাসরুমের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। তাদের চোখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ফুটে ওঠে। বাচ্চারা আনন্দের সাথে এ ক্লাসরুমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন তথ্য জানছে, শিখছে। তাদের বয়স যত কম, আগ্রহ তত বেশি। দুই-তিন বছর ক্লাস করেই তারা অনেক জটিল জিনিস ও প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে পারছে। এটি তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
২০২১ সালে চীনের সংবাদদাতা পরিষদের সদস্য চাং ইয়ে লিয়াং ওয়েন জেলার উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৮ সাল থেকে চীনের সংবাদদাতা পরিষদের সাথে ওয়েন জেলার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ জেলায় শিক্ষা খাতে সহায়তা দেওয়া চীনের সংবাদদাতা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব।
জেলার উপপ্রধান হিসেবে জরিপের সময় চাং ইয়ে লিয়াং খেয়াল করেন, স্থানীয় আর্থিক অবস্থার দুর্বলতার কারণে, স্কুলগুলো শিক্ষাসরঞ্জামের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। ফলে, স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞানের মাধ্যমে ভালো করে লেখাপড়া করতে পারছে না। নতুন প্রজন্মের জীবনমান উন্নত করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি শিক্ষা। ২০২১ সালে টেনসেন্ট কোম্পানি চীনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘বুদ্ধি ও শরীরের চর্চা’ প্রকল্প চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় ‘ফিউচার ক্লাসরুম’ ও ‘ফিউচার খেলারমাঠ’ বিনির্মাণে চীনের অনুন্নত এলাকায় সফ্টওয়ার ও হার্ডওয়ার সরবরাহ করা শুরু হয়। এর লক্ষ্য গ্রামাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকার শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নত করা।