কর্মসংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা প্রসঙ্গ
চীনের ইউথ পত্রিকার এক জরিপ থেকে জানা গেছে, ৯৫.৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থী মনে করেন, কর্মসংস্থানের পরিকল্পনার সাথে বাস্তবতার ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এ সম্পর্কে সহকারী শিক্ষক লুও রং হাও বলেন, তাঁর একজন মাধ্যমিক স্কুলের সহপাঠী ভবিষ্যতের চাকরির জন্য সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তার লক্ষ্য, বেতন বিবেচনা করে চাকরি নেওয়া। যেমন, কম্পিউটার বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীদের বেতন তুলনামূলক বেশি। তাই, সে এ বিষয়কে মেজর হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী থাকাকালেই অনেক ইন্টারনেট কোম্পানির অফার পেয়েছে।
ম্যাডাম থাং সিয়াও ইয়ুন কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য দৃষ্টান্ত খুঁজে দেখা। আশেপাশের সুপরিচিত লোকদের কর্মজীবন এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে পারে। তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা। দ্বিতীয়ত, নিজের প্রাধান্য ও দুর্বলতা সঠিকভাবে জানা জরুরি। এভাবে কী কাজ সে ভালোভাবে করতে পারবে, তা জানা যাবে। তৃতীয়ত, নিজের প্রিয় কোম্পানিতে ইন্টারশিপের জন্য আবেদন করা। কর্মসংস্থানের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
বসন্ত উত্সবের ছুটিতে রেলপথের যুব স্বেচ্ছাসেবকদের গল্প
চলতি বছরের বসন্ত উত্সব গত কয়েক বছরের চেয়ে একটু আলাদা ছিল। কারণ, জানুয়ারি মাসে চীনে কোভিড-প্রতিরোধক নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাই যারা টানা কয়েক বছর জন্মস্থানে ফিরে যেতে পারেননি, এ বছর তাদের যাওয়ার সুযোগ হয়। বসন্ত উত্সবের সময় এবার যাত্রীদের মোট সংখ্যা ২১০ কোটি পার্সনটাইমস ছাড়িয়ে যায়। এতো যাত্রী পরিবহন করা চীনের বিমানপথ, রেলপথ ও সড়কপথের জন্য জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যাত্রীদের সুষ্ঠু যাত্রা নিশ্চিত করতে, রেলস্টেশনগুলোতে তাই অনেক যুব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। ব্যস্ত রেলস্টেশন, বিশাল ট্রেন মেরামত কারখানা, দূরবর্তী এলাকার ছোট রেলস্টেশন—সর্বত্রই স্বেচ্ছাসেবকদের আন্তরিক হাসি দেখা গেছে। তাদের সাহায্যে যাত্রীরা উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে ভ্রমণ করতে পেরেছেন।