কর্মসংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা প্রসঙ্গ
পেশা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে যথাসময়ে সঠিক পরিকল্পনা করা গেলে, সেটা পরবর্তী কালে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনুসন্ধানে তাদের সাহায্য করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে: কীভাবে সঠিক পরিকল্পনা করা যায়? আজকের অনুষ্ঠানে কয়েকজন চীনা যুবকের গল্প ও এসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো।
চীনের সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী লিউ সিয়াও লিন তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নকালেই উপযুক্ত পেশায় নিজেকে যুক্ত করার আগাম পরিকল্পনা করতে থাকেন। তাঁর পরিকল্পনা, জন্মস্থানের সরকারি প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য, গত বছরের জুলাই মাস থেকেই, রাষ্ট্রীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সে।
ছেলে লুও রং হাও চীনের কৃষি ও বনবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করে। অনার্সের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাদার সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁর পরিকল্পনা, স্নাতক হওয়ার পর, সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা।
চীনের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিয়ানতি শিক্ষা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ম্যাডাম থাং সিয়াও ইয়ুনের ১৮ বছরের কর্মঅভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করেন, পেশার পরিকল্পনা আসলে জীবনের পরিকল্পনা। পেশার পরিকল্পনা মাধ্যমে আমরা কী ধরনের জীবন কাটাবো, কার সাথে পরিচিত হবো, এবং সমাজে কী ভুমিকা পালন করবো, তা মোটামুটি নির্ধারণ করে ফেলি। তাই, সঠিক পরিকল্পনা জরুরি।
ছাত্রী লিউ সিয়াও লিন নিজের স্বভাব-চরিত্র বিবেচনা করে, কয়েকটি সম্ভাব্য পেশাকে তাঁর পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। যেমন, জনসংযোগ আর বিক্রয়সম্পর্কিত চাকরি অন্তর্মুখী মেয়ে লিউ’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং। সে মনে করে, নিজের স্বভাব-চরিত্রের সাথে মানানসই কাজ করা উচিত। তা না হলে পেশাজীবনে উন্নতি করা যায় না। বস্তুত, তাঁর ধারণা অসত্য নয়।