‘চীনের প্রভাব (ইমপ্রেশন অফ চায়না)- ইরানি যুব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ প্রদর্শনী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে
৭ থেকে ১১ বছর বয়সী গ্রুপের প্রথম প্রথম পুরস্কার বিজয়ী মেহরনাজ তোলুইয়ের চিত্রকর্ম ‘সিল্ক রোড’, প্রাচীন পারস্য ও চীনা বাণিজ্য দৃশ্যকে চিত্রিত করেছে। ধারণাটি তার বাবা মাহমুদ থেকে লাভ করেছিল। ‘প্রাচীন সিল্ক রোড চীন ও ইরানকে সংযুক্ত করেছিল।’ মাহমুদ বলেন, ‘এখন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই পথের মাধ্যমে দুই দেশের সংস্কৃতিকে আবার সংযুক্ত করা উচিত।’
ইরানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ছাং হুয়া অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রতিযোগিতার চিত্রকর্মগুলোর বিষয়বস্তু অনেক সমৃদ্ধ, চীনের প্রতি ইরানি কিশোর-কিশোরীদের আকুল আগ্রহ এবং চীন ও ইরানের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বজায় রাখা দরকার। আশা করা যায়, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দুই দেশের যুবকদের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করতে পারব, যাতে চীন ও ইরানের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এগিয়ে যায় এবং চীন ও ইরানের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারি নতুন অর্থ, নতুন গতি এবং নতুন প্রাণশক্তি দেখা যায়।
ইরানের জাতীয় কিশোর-কিশোরী বুদ্ধিজীবী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হামিদ আলামাতি বলেন, চীন একটি সংস্কৃতি, সভ্যতা ও শিল্পের দেশ এবং ইরানের সাহিত্যকর্মে প্রচুর চীনা গল্প ও চীনা উপাদান রয়েছে। ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে, বুদ্ধিজীবী শিক্ষাকেন্দ্র ইরানে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। যাতে দুই দেশের যুবকদের মধ্যে বিনিময়ে আরও গভীর হয়, যুবকদের মধ্যে ক্রমাগত পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, বন্ধুত্বের দূতদের আরেকটি ব্যাচ গড়ে তোলা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ে নতুন শক্তি যুক্ত হয়।
ইরানি কর্মকর্তা, এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং তাদের পরিবার, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, ইরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৮০জন এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষায় প্রথম বর্ষের ছাত্র মানি জারেহ প্রদর্শনীতে আসেন। তিনি বলেন, প্রদর্শনী দেখে তিনি অনেক ‘অনুপ্রাণিত’। তিনি জানান, ‘আমি বুঝেছি যে এত বেশি ইরানি মানুষ চীনা সংস্কৃতিকে ভালোবাসে, যা আমাকে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে এবং চীনকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য কঠোর পরিশ্রুত করতে অনুপ্রাণিত করে।’