যুবক বিজ্ঞানীর ব্লগারে পরিণত হবার গল্প
বিজ্ঞানবিষয়ক ভিডিও বানানোর অনুভূতি সম্পর্কে চাং ছেন লিয়াং বলেন, আসলে ভিডিও বানানোর জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। যেমন, ভিডিওর খসড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির তথ্য যুক্ত করতে হয়, প্রতিদিনের শুটিংয়ের কাজও অনেক ক্লান্তিকর। ভিডিওতে একটি ক্যাপশন বা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের দুই-তিনটি লাইনের কথা থাকে, তবে এর পেছনে আধা ঘন্টারও বেশি সময় ধরে শুটিং করতে হয়। হাইনান প্রদেশে ধারাবাহিক ভিডিও করা হয়েছে। রেইনফরেস্টসম্পর্কিত হলেও, প্রতিটি ভিডিওর আলাদা বিষয়। তাই প্রতিবার খসড়ার প্রস্তুতিমূলক কাজও আলাদা।
গবেষক চাংয়ের কাছে বাচ্চাদের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাঁর সবচেয়ে খুশির ব্যাপার বাচ্চারা তার ভিডিও দেখে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়। কারণ বাচ্চারা চীনা জাতির ভবিষ্যতের আশা। যদি তাদের মধ্যে আরো বেশি বিজ্ঞানী হয়, তবেতারা অবশ্যই দেশের উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে।
এ সম্পর্কে চাং বলেন, অনেক বাচ্চা মনোযোগ দিয়ে ভিডিও দেখে এবং তারা অনেক বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্য মুখস্ত করতে পারে। তারা পিতামাতাকে বলে, তাড়াতাড়ি হোমওয়ার্ক শেষ করে বিজ্ঞানভিত্তিক ভিডিও দেখতে হবে। তারা জাদুঘর বা বইয়ের দোকান থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক বই পড়ে। এটা চাংয়ের জন্য উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার।
মনোবিজ্ঞানবিষয়ক তথ্য প্রচারকারী ব্লগার ইথানের ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। তাঁর মতো ব্লগাররা পিলিপিলি, ওয়েপো আর টিকটকসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে মজার কথা ও চমত্কার উদাহরণের মাধ্যমে চীনা নেটিজনেদের জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন কঠিন বিষয় তাঁরা সহজ-সরল ভাষায় তুলে ধরেন। সাধারণ মানুষ তাই তাদের উপস্থাপনা পছন্দ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্রুত উন্নয়নের কারণে তথ্য সম্প্রচারের পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। যুবক বিজ্ঞানীরা এ শ্রেষ্ঠ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের জানা তথ্য-উপাত্ত সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমরা জানি ইন্টারনেটে অনেক মিথ্যা তথ্য রয়েছে। তাই ইন্টারনেট থেকে সত্যি কথা ও তথ্য খুঁজে নেওয়া অতি জরুরি ব্যাপার। জটিল ও কঠিন বৈজ্ঞানিক তথ্য ও জ্ঞানের ব্যাপারে এ কথা আরও বিশেষভাবে প্রযোজ্য।