যুবক বিজ্ঞানীর ব্লগারে পরিণত হবার গল্প
কেউ কেউ ভ্রমণের সময় প্রকৃতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন উদ্ভিদ, পশুপাখির ছবি বা ভিডিও পোস্ট করেন। সাধারণত এমন পোস্ট অনলাইনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকে তা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রজাতির নাম কী? উদ্ভিদ বা পশুর নাম কী?—ইত্যাদি নানান প্রশ্নের উত্তর তারা জানতে চান। অনেকেই এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পান না বা পোষ্টদাতাও কখনও কখনও এসব প্রশ্নের উত্তর জানেন না। তখন গবেষক চাং এ বিষয় নিয়ে নিজের বিশ্লেষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
গবেষক চাং ধারাবাহিক ভিডিও বানিয়ে আসছেন। এসব ভিডিওর শিরোনাম ‘ইন্টারনেটে জনপ্রিয় বিভিন্ন প্রজাতির সনাক্তকরণ’। ভিডিওতে মজার মজার কথা বলে যুবকদের আকর্ষণ করেন তিনি। বর্তমানে অনেক ভ্লগার গবেষক চাংয়ের মতো বিজ্ঞানভিত্তিক ভিডিও পোস্ট করছেন। সেটা বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রচারে খুব ভালো পদ্ধতি।
বায়োমেট্রিক্স ব্লগার চাং ছেন লিয়াংয়ের ওয়েবসাইটের ফলোয়ারের সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি। তাঁর দৃষ্টিতে প্রামাণ্যচিত্র দেখতে ভালো। আর বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য তেমন একটা আকর্ষণীয় নয়। তাই তিনি নিজের সংগৃহীত বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
তিনি বলেন, চীন অনেক বিশাল দেশ। এখানে বিভিন্ন ধরনের জীব দেখা যায়। এমন বিশেষ পশুপাখিও রয়েছে, যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো ধারণা নেই। তাই পান্ডা বা সোনার বানর বাদ দিয়ে, তিনি সবার জন্য অপরিচিত পশুপাখিসম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তা তুলে ধরতে বেশি আগ্রহী। এটা তাঁর জন্য বেশ মজার ব্যাপার। তিনি চান, তাঁর ভিডিও নতুন প্রজাতি তথা অপরিচিত বা কম পরিচিত প্রজাতি সম্পর্কে নেটিজেনদের শিক্ষিত করে তুলুক।
চীনের হাইনান প্রদেশের রেইনফরেস্ট পার্ক নিয়ে ভিডিও তৈরির সময় তিনি ভাবলেন যে, কিভাবে সবার সামনে সরাসরি মজার রেইনফরেস্ট তুলে ধরতে পারেন? পরে তিনি একটি ছোট খাঁড়ি অনুসরণ করে আশেপাশের বিশেষ প্রজাতির তথ্য তুলে ধরেন। যদিও তা ছিল হাইনান প্রদেশের বিভিন্ন প্রজাতির একটি ক্ষুদ্রাংশ। ছোট দিক থেকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমের বড় প্রকৃতির গল্প শেয়ার করেন তিনি। এটা সবাই পছন্দ করে।