যুবক বিজ্ঞানীর ব্লগারে পরিণত হবার গল্প
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন সারা বিশ্বের জনগণের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন বয়ে এনেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেবল বিজ্ঞানীদের গবেষণার ব্যাপার নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনের ওপরও প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টর।
সম্প্রতি কিছু কিছু চীনা যুবকবিজ্ঞানী গবেষণার পাশাপাশি, অনলাইনে ব্লগার হিসাবে কাজ করছেন। তারা বিভিন্ন মজার জ্ঞান অনলাইনে ভিডিও-র মাধ্যমে প্রচার করেন। তাদের একাজের ফলে এখন আরও বেশি নেটিজেন বিজ্ঞানসম্পর্কিত নানান তথ্য জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন। তেমনি একজন ব্লগার হলেন চান ছেন লিয়াং।
৩৪ বছর বয়সের চাং ছেন লিয়াং চীনের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বহুমুখী মিডিয়া কেন্দ্রের পরিচালক। ছোটবেলা থেকে তিনি বিজ্ঞানসম্পর্কিত থিসিস পড়তে পছন্দ করতেন এবং মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য পড়াশোনাকালে তিনি বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের জন্য অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন। সেই সময় ইন্টারনেটে বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট প্রবন্ধ বা ব্লগ লেখা ব্যাপক প্রচলিত হয়ে গেছে। তখন থেকে গবেষক চাং অনলাইনে তাঁর গবেষণার লেখাও প্রকাশ করতে থাকেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি ছোট ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্য তুলে ধরতে শুরু করেন। তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে যুবকরা মোবাইলে ভিডিও দেখতে বেশ আগ্রহী। অনলাইনে বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। সঠিক তথ্যের পাশাপাশি, অসত্য তথ্যও পাওয়া যায়। এটা বিজ্ঞানীদের জন্য দুঃখের ব্যাপার। কারণ এমন ভিডিও সবাইকে ভুল বুঝতে সাহায্য করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর গবেষক চাং খেয়াল করেন যে, একটি পোস্ট দিলে কম সময়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রায় পাওয়া যায়। অনেকে তাঁর পোস্ট শেয়ার করেন। কেউ কেউ একটি বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন, যা গবেষক চাংয়ের জন্য উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার। তিনি নিয়মিত ওয়েবসাইটে সবার সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতে থাকেন। এর কারণ তিনি নেটিজেনদের চিন্তাভাবনা বা আগ্রহ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।