উচিয়ামা বই দোকান ও জাপানে চীনা অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তা
উচিয়ামার বয়স ৫০ বছর। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে, ২৪ বছর ধরে বইয়ের দোকান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, একসময় দোকানে চীনা কমিক বই বিক্রি হতো, যেগুলোর বেশিরভাগ জাপানি কমিকের চীনা ভাষায় অনুবাদ। তখন পাঠকরা সাধারণত চীনা ভাষা শেখার জন্য সেগুলো ব্যবহার করতো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনা লেখকদের মূল কমিক বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালে, উচিয়ামা বই দোকানের মোট বিক্রির ৫.৬ শতাংশ ছিল কমিক্স এবং ২০২১ সাল নাগাদ, তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ শতাংশে। ২০২১ সালে, বই দোকানে চীনা কমিকসের বিক্রির পরিমাণও ২০১৬ সালের তুলনায় ২.৭ গুণ বেড়েছে।
জাপানের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে নারী পাঠকরা, চীনা কমিকস, বিশেষ করে প্রাচীন শৈলীর কমিকস খুব পছন্দ করেন। প্রতিবেদক বই দোকানের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের এলাকায় "লুও সিয়াওহেই: যুদ্ধের কিংবদন্তি" ছাড়াও, "অমানবিক"-এর মতো আরও অনেক চীনা কমিক দেখেছেন। গ্রাহকরা সেগুলো দেদারছে কিনছেও।
উচিয়ামা সুকা দোকানে "প্রাচীন শৈলী ও কমিক কৌশল শিখুন"-এর একটি কপি তুলেছিলেন। কারণ, অনেকে বইটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আসলে যারা কমিক পছন্দ করেন, তাদের অনেকে আবার নিজেরা আঁকেনও। "এমন অনেকে আছেন যারা বিশেষভাবে চীনা কমিক পড়ে চীনা ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন," জানালেন তিনি।
জাপান অ্যানিমেশনের বড় দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, জাপানি বাজারে চীনা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন অ্যানিমেশান দেখা যাচ্ছে।
আসলে অ্যানিমেশন দেখা অনেক দেশের তরুণদের একটি সাধারণ শখ এবং তারা স্বাভাবিকভাবেই এর মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসেন। উচিয়ামা বলেন: "কিছু জাপানি পাঠক আছেন, যারা চীনা কমিকসের মতো বই কেনেন। তাদের কাছে এ হচ্ছে একেকটি জানালাস্বরূপ, যার মাধ্যমে তারা চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।"
ইসরাইলি প্রকাশক পিয়েরে রাভির সাক্ষাত্কার