উচিয়ামা বই দোকান ও জাপানে চীনা অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তা
ক্রীড়া খাতের শক্তিশালী দেশের ভিত্তি হল জনগণের ক্রীড়া। ২০০৯ সালে চীন প্রতিবছর ৮ অগাস্টকে "জাতীয় ফিটনেস দিবস" হিসাবে ঘোষণা করে। সেবছরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের জাতীয় ফিটনেস গণ-সেবাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। তখন মাথাপিছু খেলার মাঠ হবে গড়ে ২.৬ বর্গমিটার। আর নিয়মিত শরীরচর্চাকারীর সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ৩৮.৫ শতাংশ।
২০০৮ সালে থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, চীন সক্রিয়ভাবে অলিম্পিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে, অলিম্পিক চেতনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এবং অলিম্পিক আন্দোলনে নতুন অবদান রেখে চলেছে। ক্রীড়া খাতে অন্যতম বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার পথে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে চীন!
উচিয়ামা বই দোকান ও জাপানে চীনা অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তা
‘জাপানি পাঠকরা চীনা সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অধিক হারে জাপানি পাঠক চীনা কমিক ও উপন্যাস কিনছেন। জাপানি পাঠকরা আজকে যেসব কমিক্স পছন্দ করেন, তার মধ্যে চীনা কমিক উল্লেখযোগ্য।’ জাপানের টোকিওতে অবস্থিত উচিয়ামা বইদোকানের মালিক উচিয়ামা ফুকা সিনহুয়া বার্তা সংস্থার প্রতিবেদককে এ সব কথা বলেন।
টোকিওর জিমবোচোতে অবস্থিত উচিয়ামা বইয়ের দোকানের মূল শাখাটি ১৯১৭ সালে চীনের সাংহাইয়ে খোলা হয়েছিল। এর ইতিহাস এক শ বছরেরও বেশি। উচিয়ামা সুকা বই দোকানের চতুর্থ প্রজন্মের মালিক। তিনি বলেন, দোকানে বই কিনতে আসা গ্রাহকদের প্রায় ৮০ শতাংশ জাপানি এবং প্রায় ২০ শতাংশ চীনা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যেই চীনা অ্যানিমেশন উচিয়ামার ওপর গভীর ছাপ ফেলেছে, সেটি হল "লুও সিয়াওহেই: যুদ্ধের কিংবদন্তি"। ২০২০ সালে, জাপানে "লুও সিয়াওহেই: যুদ্ধের কিংবদন্তি" চলচ্চিত্রটি ৩.৭৫ লাখ দর্শক দেখে এবং ৫৮০ মিলিয়ন ইয়েন বক্স অফিস আয় করে। উচিয়ামা বলেন, শুরুতে বই দোকান "লুও সিয়াওহেই: যুদ্ধের কিংবদন্তি" কমিক বইটি সংগ্রহ করতে চেয়েছিল এই কারণে যে, ২০ বছর বয়সী একজন জাপানি নারী পাঠক এটি কিনতে চেয়েছিলেন। তারপর এখন পর্যন্ত, অনেক জাপানি বইভক্ত এটি কিনতে এসেছেন। সবাই মনে করেন যে "লুও সিয়াওহেই" খুব কিউট। তা ছাড়া, অ্যানিমেশনে চীনা সংস্কৃতির অনেক উপাদান রয়েছে।