চীন-ইতালি সাংস্কৃতিক বিনিময় ফলপ্রসূ হয়েছে: চীনে নিযুক্ত ইতালির দূতাবাস
সাক্ষাত্কারে ফেডারিক বলেন, আমি খুবই খুশি যে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এতে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমি মনে করি, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এসব ইভেন্ট ও প্রদর্শনী সফল হয়েছে। এতে দেখা যায় যে চীনা জনগণ ইতালি ও ইউরোপের সংস্কৃতির প্রতি গভীর আগ্রহী। চীন ও ইতালির জনগণও আশা করেন যে সংলাপ ও সমঝোতা জোরদার করা হবে। এটি হলো আর্থ-রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। যা কয়েক বছর ধরে চলা কোভিড মহামারীর পর সাংস্কৃতিক বিনিময় পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। ইতালিসহ ইউরোপ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক খাতের বিনিময় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। আমি বলতে চাই- আমি বিশ্বাস করি, দু’দেশের সরকার আশা করে যে, ২০২২ সালে উপরে উল্লেখিত কর্মসূচিগুলো আয়োজন করা যাবে। মহামারীর প্রেক্ষাপটে এটি সহজ কাজ নয়, কিন্তু কিছু বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যা সাংস্কৃতিক খাত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিকে উত্সাহ দেবে এবং আস্থার সঙ্গে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে দু’দেশের সহযোগিতা এগিয়ে নেবে। চীনে ইতালির দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নতুন পরিচালক হিসেবে, তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বিস্তৃত সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। পাবলিক প্রতিষ্ঠানের উচিত বিভিন্ন বিনিময় ও কার্যক্রমে সুযোগ-সুবিধা ও সমর্থন দেওয়া; যাতে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও উন্নত হয়। আমার মতে আমাদের উচিত দু’দেশের শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো। একই সময়ে তাদের ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করা এবং নতুন ক্যারিয়ারের জন্য দুই দেশের ঐতিহ্য ও সভ্যতা উন্নত করা। আমি বিশ্বাস করি, আরও বেশি ইতালির তরুণ চীনের সাংস্কৃতিক শিল্প ব্যবস্থাকে জানার চেষ্টা করবে, তারা হয়তো ইতালি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তারা অবশ্যই ইতালির সাংস্কৃতিক শিল্প ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত। আমিও আশা করি দু’দেশের তরুণ সমাজ নিজেকে আরও উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে, আরও ভালভাবে বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের ঘনিষ্ঠ সভ্যতার সংলাপ প্রচার করবে।