সৌদি আরবের আবিদ শরীফ: ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর সাংস্কৃতিক দূত হতে চাই
অনেক বছর কঠোর পরিশ্রমের পর আবিদ শরীফ অবশেষে চীনে তার পড়াশোনা শেষ করেন। ঠিক সেই সময় সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরি এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা প্রকল্পের অগ্রগতি হয়। এই খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আবিদ আবেদন করেন এবং সেই প্রকল্পের সৌদি আরবের ম্যানেজার হওয়ার পর, প্রকল্পের অগ্রগতির সাথে সাথে, আবিদ অবশেষে সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরির পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সৌদি আরব পক্ষের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পান।
সেই পাবলিক লাইব্রেরির পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হলো চীন-সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সহযোগিতার একটি প্রকল্প। এটি সৌদি আরবের লাইব্রেরির আরব অঞ্চলের বাইরে স্থাপিত প্রথম শাখা। এটি চীন ও সৌদি আরবের নতুন যুগের মৈত্রীর নতুন প্রতীক। বর্তমানে এই লাইব্রেরির মোট আয়তন ১৩ হাজার বর্গমিটার, এর সংগ্রহ করা বই প্রায় ২৫ হাজার এবং এর মধ্যে ২২৮১৮ হলো আরবি ভাষার মৌলিক বই। আবিদ বলেন, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নির্মাণের প্রস্তাব থেকে, বর্তমানে সমৃদ্ধ উন্নয়ন পর্যন্ত, দশ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। যা সৌদি আরব ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত করে।
আবিদ বলেন, “আমাদের শাখার বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট হলো সৌদি আরব-চীন ধারাবাহিক যুব সংলাপ। ঐতিহ্যগত বিনিময় ফর্মের পাশাপাশি, আমরা বিশেষভাবে দু’দেশের যুবকদের পারস্পরিক সফরে আমন্ত্রণ জানাবো। বিশেষ করে, যারা চীনা ভাষা ও আরবি ভাষা ও সংস্কৃতিতে আগ্রহী, তারা পরস্পর সফর করতে পারে, সামাজিক তত্পরতায় অংশ নিতে পারে, সাংস্কৃতিক বিখ্যাত ব্যক্তি, পণ্ডিতদের সাথে বিশেষ বিনিময় ইভেন্টে যুক্ত হতে পারে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে- ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ শুরুর পর থেকে, আবিদ দু’দেশের আরও বেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। যেমন ২০১৮ সালে চীন ও সৌদি আরবের সহযোগিতায় পোর্ট অফ সেলেন সাইটের যৌথ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকল্পে অংশ নেন তিনি। এতে প্রায় হাজার বছর ধরে সামুদ্রিক রেশমপথের মাধ্যমে সৌদি আরবে পরিবহন করা চীনের বিভিন্ন রাজবংশের চীনামাটি রয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী, শিল্প উত্সব এবং শিক্ষা প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।