সৌদি আরবের আবিদ শরীফ: ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর সাংস্কৃতিক দূত হতে চাই
সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেছেন, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া হলো ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের সাংস্কৃতিক ও মানবিক ভিত্তি। আমাদের উচিত ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর বরাবর দেশগুলির ইতিহাস, সংস্কৃতি, রীতিনীতিকে সমর্থন করা, এই উদ্যোগ বরাবর দেশগুলির জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় জোরদার করা এবং ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ নির্মাণের জন্য একটি ব্যাপক সামাজিক ভিত্তি স্থাপন করা।
‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ মানুষের মনে আরও গভীরভাবে উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, চীন ও প্রাসঙ্গিক দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ বরাবর দেশগুলির একজন সাংস্কৃতিক দূতের গল্প বলব। শুনুন সৌদি আরবের আবদুল আজিজ রাজা পাবলিক লাইব্রেরির পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-পরিচালক আবিদ শরীফের গল্প।
যখন সংবাদদাতা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আবিদ শরীফের সাথে দেখা করেন, তখন তিনি প্যাকিং করছেন, কিছুদিনের পর তিনি চীনে ফিরে আসবেন। অনেক বছর হয়ে গেছে। প্রথমবার চীনে আসার সব স্মৃতি তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ২০০৭ সালে, সৌদি আরব প্রথমবারের মতো চীনে বড় একদল শিক্ষার্থী পাঠায়। আবিদ ছিলেন তাদের মধ্যে। যদিও সেই সময়ে তার অধ্যয়নের বিষয় ছিল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং। আবিদ চীনে অধ্যয়ন করার সময় চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শক্তিশালী আগ্রহ অনুভব করেন। সেই কারণে তিনি পরবর্তীতে তার পেশা হিসেবে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে বেছে নেন। তিনি বলেন,
“সাংস্কৃতিক বিনিময় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অনেক দূরের বলে মনে হয়। তবে, এটি আসলে যোগাযোগ বা একটি যোগাযোগের প্রক্রিয়া। এর পার্থক্য হলো ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং মানব-কম্পিউটার মিথস্ক্রিয়া। বিশেষ করে যখন আমি চীনে অধ্যয়ন করতাম, আমি উহানে পড়াশোনা করতাম। আমি বেইজিংয়ে একজন স্নাতকোত্তর ছাত্র ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উত্সব আয়োজন করে, যা বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে বিনিময়ের একটি প্রক্রিয়া। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক উত্সবে তাদের নিজের বৈশিষ্ট্যময় সংস্কৃতি প্রদর্শন করে, একই সঙ্গে অন্য দেশ ও দেশের সংস্কৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। এই ধরনের কার্যক্রম সাংস্কৃতিক বিনিময়ে আমাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ উদ্দীপিত করে চলেছে।”