নিউ ওরিয়েন্টালের ইংরেজি শিক্ষক তুং ইয়ু হুই যখন অনলাইনে জনপ্রিয় পণ্য-বিক্রেতা
আসলে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর নিউ ওরিয়েন্টাল কোম্পানি অনলাইনের লাইভ স্টুডিও চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমবারের লাইভ অনুষ্ঠানে ইয়ু মিন হংয়ের প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ লাখ ইউয়ানের পন্য বিক্রি হয়। তবে পরের দুই মাসের মধ্যে মোট ২৬টি লাইভ অনুষ্ঠানে তারা শুধু ৪৫ লাখ ইউয়ানেরও জিনিস বিক্রি করতে সক্ষম হন। সেটি কোম্পানির জন্য অতি বিপজ্জনক মুহুর্ত ছিল। এ সম্পর্কে কোম্পানির আরেকজন শিক্ষিকা ইয়োইয়ো বলেন, “সেই সময় আমাদের লাইভ স্টুডিওতে লোক খুবই কম ছিল। তবে শিক্ষক তুং আসার পর তিনি কবিতা ও উপন্যাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্যের পরিচয় দিতে থাকেন। তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে কথা বলেন। তাঁর কথায় আবেগ থাকে, মজার মজার বিষয় থাকে, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে।” দর্শক ও ক্রেতা মিস পাই মনে করেন, শিক্ষক তুং বেশ জানাশোনা মানুষ। তাই তাঁর কথা শুনতে শুনতে সময় দ্রুত পার হয়ে যায়। তিনি কখনও জিনিস কিনতে ক্রেতাদের জোর করেন না। তিনি শুধু পণ্যের বর্ণনা দিয়ে যান মজার মজার পদ্ধতিতে।
শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় জুন মাসের মধ্যে নিউ ওরিয়েন্টালের শেয়ারের মূল্য ৩৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। সেটি কেবল শিক্ষকদের প্রচেষ্টার ফলে নয়, বরং কৃষিজাত পণ্যের দাম হ্রাসও এর একটি কারণ। এখন নিউ ওরিয়েন্টালের পণ্যদ্রব্যের সরবরাহ চেইনও পরিবর্তন হয়েছে। ফলে তাদের দ্রব্যের দাম আগের চেয়ে অনেক সস্তা হয়েছে। সেটিও ক্রেতাদের জন্য সুখবর।
তা ছাড়া, কৃষিজাত দ্রব্যের প্রতিযোগিতা অন্যান্য পণ্যদ্রব্যের তুলনায় তুমুল নয়। যারা নিউ ওরিয়েন্টালের লাইভ স্টুডিও থেকে দ্রব্য কিনে থাকেন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তুলনামূলকভাবে বেশি। কোম্পানির ব্যবসার দ্রুত প্রবৃদ্ধি থেকেও বোঝা যায়, চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নিউ ওরিয়েন্টালের লাইভ অনুষ্ঠানকে আপন করে নিয়েছে। তবে কৃষিজাত দ্রব্য বা সীফুডের ক্ষেত্রে নষ্টের হার বেশি। মাল পরিবহনের চাপও বেশি। তাই শুধু কৃষিজাত দ্রব্য বিক্রি করা যথেষ্ঠ নয়। এ পরিস্থিতিতে এখন নিউ ওরিয়েন্টালের বই বা সফটওয়ার বিক্রির শিক্ষক দলও গঠিত হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্যদ্রব্য বিভিন্ন ক্রেতার চাহিদা মেটাতে পারছে।