একজন অ্যাঙ্গোলান লোক চীনা খাবারের প্রেমে পড়েছে
আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে একজন অ্যাঙ্গোলান যুবক চীনে ৭ বছর বসবাস করেছে, এখন সে একজন ব্লগার, সে তার চ্যানেলে সুস্বাদু চীনা খাবার পরিচয় করিয়ে দেয়। সুস্বাদু চীনা খাবারের স্বাদ নেওয়ার পর সে ধীরে ধীরে চীনের খাদ্য সংস্কৃতি বুঝতে পেরেছে।
“এসব খাবার এত সুস্বাদু কেন! আমি আগে কখনও খাইনি।”
একজন সুদর্শন বিদেশি যুবক খুব সাবলীল চীনা ভাষায় এসব কথা বলছে এবং সে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একের পর এক চীনা খাবারের ছবি পোস্ট করেছে। তার প্রায় ৪০ লাখ ভক্ত রয়েছে।
তার নাম লুও উয়েন, সে আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অ্যাঙ্গোলা থেকে এসেছে। সেখানে প্রচুর রোদ স্থানীয় ফলের স্বাদ অনেক বাড়িয়েছে। ২০১৫ সালে লুওউয়েন চীনে অধ্যয়নের জন্য অ্যাঙ্গোলা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে চীনে আসে। এই সিদ্ধান্ত তার জন্য একটি নতুন দরজা খুলে দেয়। সে বলে, “আমি চীনে ৭ বছর আছি। প্রথমে আমি পড়াশোনা করতে চীনে আসি। আমি সিয়ামেন শহরে পড়াশোনা করেছি এবং আমার মেজর হলো যোগাযোগ প্রকৌশল।”
অনেক বিদেশির মতো যারা চীন সম্পর্কে খুব কম জানে, চীনে আসার আগে লুও উয়েন চীন সম্পর্কে শুধুমাত্র আফ্রিকার কিছু জনপ্রিয় টিভি নাটক দেখে শিখেছে। সে বলে, “আমি সেই সময় ‘প্রিন্সেস পার্ল’ দেখতাম। এই টিভি নাটক আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই এটি দেখতে পছন্দ করে। প্রতিদিন রাত ৮টায় এই টিভি নাটক দেখতাম। সেই সময় আমি ভাবতাম যে চীনারা কুংফু জানে এবং সেই সময় থেকে আমি চীনা সংস্কৃতি পছন্দ করতে শুরু করি।”
সিয়ামেনে অধ্যয়নের ধীর জীবন লুও উয়েনকে সর্বত্র শহরের সৌন্দর্য অনুভব করিয়েছিল। স্নাতক শেষ করার পর, সে তার জীবনধারা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে শেনচেনে আসে, সেখানে জীবনের গতি দ্রুততর হয়।