চীনের পাহাড়াঞ্চলের সিনিয়র সংগীত শিক্ষক তেং সিয়াও লানের গল্প
এ কনসার্টের সফল আয়োজন মালান গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক উত্সাহ যোগায়। টানা কয়েক বছরের চর্চায় ২০২২ সালে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ পায় তারা। মনোযোগ ও সাহসের সাথে গান গেয়েছে বাচ্চারা, যা সারা বিশ্বের দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। শীতকালীন অলিম্পিক গেমস শেষ করার পর তিনি আগের মতো আবার মালান গ্রামে ফিরে যান এবং স্থানীয় সংগীত উত্সবের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
তবে সেরিব্রাল ইনফ্রাকশনের কারণে বাচ্চাদের কাছ থেকে তাকে চিরদিনের মতো বিদায় নিতে হয়। এ সম্পর্কে তেংয়ের ছেলে-মেয়ে বলে, ‘আমাদের মা জীবনের শেষ ১৮ বছর ধরে ফুপিং জেলার মালান গ্রামের শিশুদের সংগীত শিখিয়েছেন। এ অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য আনন্দদায়ক ছিল। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সময় মালান সংগীতদলের বাচ্চাদের গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেটিও তাঁর জন্য সবচেয়ে খুশির ব্যাপার ছিল। এমন মূহুর্তে তিনি শান্তভাবে দুনিয়ার অন্য প্রান্তে চলে গেছেন। তবে সেটি আমাদের জন্য সান্ত্বনার ব্যাপার। আশা করি তিনি আনন্দের সাথেই স্বর্গে থাকবেন।’
অনেক বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তেং বলেছিলেন, চাঁদ তাঁর মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ নদীতে, আকাশে যে-কোনো স্থানে চাঁদ দেখা যায়। তার বড় আশা বাচ্চাদের জন্য চাঁদের আকারের একটি মঞ্চ তৈরি করবেন। তাঁর এ স্বপ্ন স্বর্গে বাস্তবায়িত হবে এবং চাঁদের আলো বাচ্চাদের সুউজ্জ্বল ভবিষ্যতের সাথে থাকবে।
ইয়াংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ছবি এঁকে বসন্তকে স্বাগত জানায়
বসন্তকাল চলে এসেছে, দক্ষিণ চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংচৌ শহরে ব্যাপক ফুল ফুটেছে। ইয়াংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্রী ছেন থিয়ান ই এবং ছেন চে সুয়ান অন্যদের মতো কেবল বসন্তকালের সুন্দর ফুলের ছবি তোলে না, তারা চিত্রকলার মাধ্যমে বসন্তের আমেজ তুলে ধরে।