চীনের পাহাড়াঞ্চলের সিনিয়র সংগীত শিক্ষক তেং সিয়াও লানের গল্প
২০০৬ সালে ম্যাডাম তেং মালান প্রাথমিক স্কুলে একটি সংগীত দল গঠন করেন। তখন থেকে তিনি উপযুক্ত বাচ্চাদের বেছে নিয়ে তাদের আরো বেশি সংগীতের জ্ঞান শিখিয়ে দেন। বাচ্চাদের সংগীতের প্রতি আগ্রহ তৈরিতে তিনি মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন।
২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের পর তিনি নিজের খরচে সংগীতদলের সদস্যদের বেইজিংয়ে ভ্রমণ করান এবং তাদের নিয়ে বেইজিংয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে যান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে আমার বাড়িতে থাকি, আমার স্বামী তাদের জন্য রান্না করেন। তাদের কেবল গান গাওয়া বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখা নয়, বরং বাইরের দুনিয়ার দৃশ্য আরো বেশি দেখা ও অনুভব করা প্রয়োজন।’
ধীরে ধীরে তাঁর সংগীতদলের ৬ জন বাচ্চা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। তবে তেংয়ের সংগীতদল অব্যাহতভাবে চলছে, আরো বেশি বাচ্চা এ সংগীতদলের সদস্য হয়েছে। শুরুর দিকে তিনি প্রতি মাসে একবার মালান গ্রামে আসতেন। পরে তিনি সংগীতদলের সদস্যদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে দেখে, গ্রামে আরও বেশী সময় কাটানো শুরু করেন। কেউ কেউ তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার বয়স হয়েছে, কেন এতো মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন? ভ্রমণ করতে পারেন!’তিনি উত্তরে বলেন, মালান গ্রামের বাচ্চাদের খুশি তাঁর জন্য সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার। মালান গ্রামে যাওয়া-আসা তাঁর জন্য ভ্রমণের মতো মজার ব্যাপার।
২০১৩ সালে জার্মান বনাঞ্চল সংগীত উত্সবের খবর জানতে পারেন তেং। তখন তিনি ভাবেন সংগীত পাহাড় ও বনাঞ্চলে ভেসে যায় এবং মানুষের মনকে সমৃদ্ধ করে। এমন সুযোগ মালান গ্রামের বাচ্চাদের উপভোগ করা উচিত। তখন তিনি মালান গ্রামের পাহাড়াঞ্চলের একটি জলপ্রপাত খুঁজে বের করেন এবং সেখানে সহজসরল মঞ্চ স্থাপন করেন। সেখানে একটি সংগীত কনসার্ট আয়োজন করেন তিনি এবং আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের তা উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান।