২২জন তিব্বতি যুবক এবং তাদের ‘হ্যামলেট’
১৭ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত, বেইজিং ক্যাপিটাল থিয়েটারে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের থিয়েটার দলের তরুণ তিব্বতি অভিনেতাদের অভিনীত শেকস্পিয়ারের ‘হ্যামলেট’ নাটকটি জাতীয় ভাষা ও তিব্বতি সংস্করণ আলাদাভাবে মঞ্চস্থ করেছে।
পাফরম্যান্স উপভোগ করা দর্শক সেং সিয়াওছু বলেন যে, “আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। এই নাটকটি একটি পুরানো নাটক, তবে এটি একটি বিশেষ উপায়ে পরিবেশন করা হয়েছে। কারণ, এতে তিব্বতি সংস্কৃতি রয়েছে, বিশেষ করে কিছু তিব্বতি গানও গাওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটা খুব বিশেষ ধরনের।” অন্য একজন দর্শক লুও ছুহাও বলেন, “তারা শাননান, আলি এবং অন্যান্য তিব্বতি এলাকা থেকে এসেছে- যাদের সাথে আমরা পরিচিত নই। এটা বলা যায় না যে শিল্প তাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে, কিন্তু শিল্পের আলো তাদের জীবনে প্রবেশ করেছে।”
তিব্বতের এই ২২জন তরুণ ২০২১ সালের গ্রীষ্মে শাংহাই থিয়েটার একাডেমির পাফরম্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছে। তাদের স্নাতক নাটক শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ গত গ্রীষ্মে সাংহাইয়ে অনেক জনপ্রিয় হয়। এই নাটকের কারণে তারা সবাই তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের থিয়েটার ট্রুপে ভর্তি হয়, এবং থিয়েটার ট্রুপের নতুন সদস্যে পরিণত হয়। তিব্বতি যুবকদের এই নাটক ‘হ্যামলেট’ সিলিং ফ্যান এবং ইউরোপীয় রাজদরবার পোশাকসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রপসকে রাখার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বতি সাংস্কৃতিক উপাদানেরও যুক্ত করেছে। যে তিনজন ছেলে হ্যামলেট নাটকের দু’টি ভাষার সংস্করণে অভিনয় করেছে তারা সবাই সাধারণ তিব্বতি ছেলে এবং তারা রাজপুত্রের অভিনয় করেছে।
২০১৭ সালে ২২জন তিব্বতি তরুণ-তরুণী সাংহাই থিয়েটার একাডেমিতে লেখাপড়া শুরু করেছে, তখন তারা ম্যান্ডারিন ভালো বলতে পারত না। তাদের নাটকের জ্ঞানও অনেক কম ছিল। ৪ বছর অধ্যয়নের পর, বিশেষ করে ‘হ্যামলেট’-এ অভিনয় করার পর, তারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন যুবক তাশিবিয়ান বারোব বলেন, “‘হ্যামলেট’ নাটকটিতে অনেক দার্শনিক সত্য রয়েছে এবং আমি জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কেও এই নাটক থেকে শিখেছি। সেই সঙ্গে জীবনে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে- তাও আমিও জানতে পেরেছি। কীভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যায়- তা নিয়ে ভেবেছি।”