সংস্কৃতি সম্পর্কে, জাতীয় গণ-কংগ্রেসের সদস্যদের নানা পরামর্শ রয়েছে।
তারপর আমরা জিয়াংসি ও হুবেই প্রদেশ থেকে আসা জাতীয় গণ-কংগ্রেসের সদস্যদের পরামর্শ তুলে ধরব।
প্রথমেই জিয়াংসি প্রদেশ। জিয়াংসি আমার জন্মস্থান। জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধি চু হং পরামর্শ দেন যে, জিয়াংসিতে একটি বিশ্বমানের স্বাস্থ্য ও পর্যটন পরিষেবা গন্তব্য তৈরি করতে হবে।
চু হং বলেন, স্বাস্থ্য ও পর্যটন- স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। যা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা, সাংস্কৃতিক বিনোদন, শারীরিক পরীক্ষা, চিকিত্সা, বসন্তে ফুল দেখা, গ্রীষ্মের গরম আবহাওয়া এড়িয়ে চলা, শরতের রাতে চাঁদ দেখা, শীতকালে উষ্ণপ্রস্রবণ উপভোগ করা ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। যা শরীর ও মনকে শিথিল করে, নিজের আবেগের উন্নতি এবং জীবনকে দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে গভীরভাবে পর্যটনের অভিজ্ঞতা দেয়।
ঐতিহ্যবাহী পর্যটন ফর্মের সাথে তুলনা করে স্বাস্থ্য ও পর্যটন পরিষেবার বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়ে এটি সাজানো হয়েছে। এখানে পর্যটকদের আসার হার বেড়েছে এবং তা বেশ স্বাস্থ্যকর হয়েছে। এটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন শিল্পের একটি উন্নত সংস্করণ। বিশেষ করে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক অবস্থায় বর্তমানে দর্শনীয় পর্যটনের তুলনায় স্বাস্থ্য ও পর্যটন পরিষেবার সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে।
জিয়াংসি প্রদেশে সুন্দর পাহাড় ও স্বচ্ছ জলাধার রয়েছে। এর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় শক্তিও প্রবল। প্রদেশটির বনভূমির হার ৬৩.১ শতাংশ, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তা ছাড়া, জিয়াংসি প্রদেশে একটি বিশ্বের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ৩টি বিশ্বের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, ১টি বিশ্ব সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপ, ২টি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি, ১৮টি জাতীয় প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান এবং ১৩টি জাতীয়—এই ৫ স্তরের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যা সাংস্কৃতিক পর্যটন সম্পদকে সমৃদ্ধ করেছে এবং স্বাস্থ্যকর পর্যটন উন্নয়নে অনন্য সুবিধা ও মৌলিক পরিবেশ দিয়েছে।