সাহিত্য ও সংস্কৃতি-China Radio International
চীন ও ইতালির দূতাবাসের সহায়তায় দু'দেশের মূলধারার মিডিয়া মহামারী চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে একসাথে কাজ করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক, দু'দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দুই দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫০জনেরও বেশি প্রতিনিধির সাক্ষাত্কার নেওয়া হয় ও শুটিং করা হয়।
ডকুমেন্টারিটি প্রায় ১০০ মিনিটের দুটি পর্বে বিভক্ত। এতে চীন-ইতালি কূটনীতি, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধার, অপেরা সহযোগিতা, উভয় দেশের মধ্যে মিডিয়া সহযোগিতা, মহামারী ও বিপর্যয়ের সময় দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা, আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় এবং মহাকাশ ও বেসরকারি বিনিময়ের গল্প বলা হয়েছে।
চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ: ইডিএফের প্রাক্তন নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট
ফরাসি মাশলো ইডিএফের প্রাক্তন নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি চীনের ‘দয়া বে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নির্মাণে অংশ নিয়েছেন এবং চীনে ইডিএফের ব্যবসার পথ উন্মুক্ত করেছেন। তিনি পারমাণবিক শক্তি খাতে ফ্রান্স ও চীন মধ্যে অসংখ্য সহযোগিতামূলক কাজ করেছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে চায়না মিডিয়া গ্রুপের প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি দ্রুত কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য চীনের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য অর্জনে সম্পূর্ণ সক্ষম।
দ্রুত কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য চীনের প্রশংসা করেন মাশলো। তিনি বলেন, এটি চীন সরকারের বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত। শুধুমাত্র মহামারী নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হতে পারে; এমনকি প্রবৃদ্ধিও সম্ভব। তিনি বলেন, চীন মহামারী রোধে স্বাস্থ্যবিধি, বিচ্ছিন্ন থাকা এবং পৃথকীকরণের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরপর, চীন দ্রুত উত্পাদনের মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করেছে। চীন শুধু ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই অর্জন করে নি, বরং তিন/চার মাস আগের স্বাভাবিক প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।