বাংলা

নির্বিচারে শুল্ক বাড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের ‘ব্যথা’ হবে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-05-16 16:17:59
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

যুক্তরাষ্ট্র আবারও শুল্কের লাঠি বাড়িয়েছে, তাতে কি কোনো প্রভাব পড়বে? জাপানের "নিহোন কেইজাই শিম্বুন" উল্লেখ করেন যে চীনের প্রাসঙ্গিক শিল্পগুলি মার্কিন বাজারের উপর নির্ভর করে না। তাই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলেও চীনের ওপরে আসল প্রভাব পড়ে না। ব্লুমবার্গ আরও বিশ্লেষণ করেছেন যে, মার্কিন সরকার চীনের সবুজ প্রযুক্তি খাতকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যা হিংসাত্মক বলে মনে হচ্ছে। আসলে এটি শুধুই প্রতীকী বিষয়।

তাহলে মার্কিন সরকার কেন এমনটা করছে? বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে একদিকে, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র নতুন শক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না, আমেরিকান রাজনীতিবিদরা চীনের সুবিধাজনক শিল্পের বিকাশ দমন করতে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। যাতে দেশীয় উদ্যোগের জন্য আরও অনুকূল প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প চেইনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বজায় থাকে।

অন্যদিকে, এটি অনেকটা ‘রাজনৈতিক শো’-এর মতো। এই বছরটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, বাইডেন প্রশাসন এ সময়ে চীনের বিরুদ্ধে "শুল্ক যুদ্ধ" শুরু করেছে। তা মূলত দেশীয় রাজনৈতিক প্রয়োজনে।

সুতরাং, উচ্চ শুল্ক কি আমেরিকান রাজনীতিবিদদের ইচ্ছাপূরণে সাহায্য করতে পারে? অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাটারিচালিত গাড়ির ধীর বিকাশের নিজস্ব কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উচ্চ উত্পাদন খরচ এবং চার্জিং পাইলসের মতো অপর্যাপ্ত অবকাঠামো রয়েছে। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া মার্কিন অটো শিল্পের শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রতিফলিত করে যে, মার্কিন সরকারের ব্যাটারিচালিত গাড়ির বিকাশ ঐতিহ্যবাহী অটো শিল্পের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছে। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে এসব অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করা যাবে না।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn