নির্বিচারে শুল্ক বাড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের ‘ব্যথা’ হবে: সিএমজি সম্পাদকীয়
মে ১৬: ‘শুল্ক বৃদ্ধির কোন ভিত্তি নেই’ এবং ‘এর প্রতীকী তাত্পর্য প্রকৃত প্রভাবের চেয়ে বেশি’... মার্কিন সরকার ১৪ মে চীনা পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করার পর, আন্তর্জাতিক জনমত সন্দেহ ও সমালোচনা প্রকাশ করেছে। অনেক সংবাদমাধ্যম বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আর্থ-বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে রাজনীতিকরণ অব্যাহত রেখেছে; যা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের বিনিময় ক্ষুণ্ণ করছে এবং তা সংশ্লিষ্ট শিল্প বিকাশের প্রতিকূল হবে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বেদনা অনুভব করবে।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন ট্রাম্প প্রশাসন তথাকথিত "৩০১ তদন্ত" এর ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের প্ররোচনা দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চীনা পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে। ২০২২ সালের মে মাসে, চীনে বিরুদ্ধে চার বছরের শুল্ক বৃদ্ধির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, বাইডেন প্রশাসন প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা পদ্ধতি চালু করার ঘোষণা করেছিল। স্থানীয় সময় ১৪ মে, মার্কিন সরকার পর্যালোচনার ফলাফল প্রকাশ করে এবং চীনের পণ্যগুলির মধ্যে আরও শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। যার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন, লিথিয়াম ব্যাটারি এবং ফটোভোলটাইক পণ্য। তা ছাড়া প্রধান খনিজ, অর্ধপরিবাহী, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং বন্দর ক্রেইন, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ইত্যাদি।
তার মধ্যে, চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর আরোপিত আমদানি শুল্ক আশ্চর্যজনক- ২৭.৫% থেকে ১০২.৫% বেড়েছে। সৌর কোষ আমদানি কর ২৫% থেকে ৫০% হয়েছে এবং লিথিয়াম ব্যাটারির উপর শুল্কের হার ৭.৫ থেকে ২৫% হয়েছে। বোঝা যায়, মার্কিন সরকারের এবারের ফোকাস চীনের নতুন জ্বালানি-সম্পর্কিত শিল্প। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, অনেক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি চীনের নতুন জ্বালানি শিল্পের তথাকথিত "অতিরিক্ত উত্পাদন ক্ষমতা" নিবিড়ভাবে প্রচার করছেন। যা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের একটি অজুহাত মাত্র।