সংবাদ পর্যালোচনা: বিশ্বকে একটি সুস্পষ্ট সংকেত পাঠিয়েছে ওয়াং ইর সংবাদ সম্মেলন
চীন তাই বলেছে এবং ইতিমধ্যেই তাই করেছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ যৌথ নির্মাণের দশ বছর হয়েছে। এই জনকল্যাণ বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। চীন-প্রস্তাবিত ‘তিনটি প্রধান উদ্যোগ’ সাধারণত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত পেয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রিক্স-এর সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার নতুন ফোরামের আয়োজন পর্যন্ত, চীনের প্রচেষ্টায় ‘গ্লোবাল সাউথ’ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার রূপান্তরের মূল শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্ব শাসনে একটি নতুন পরিবেশ এনেছে।
উন্নয়নই সকল সমস্যা সমাধানের সোনালী চাবিকাঠি। চীন দৃঢ়ভাবে বলেছে, একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। এই সংবাদ সম্মেলনে চীন ঘোষণা করেছে, ১৪ মার্চ থেকে শুরু করে, চীন ছয়টি দেশ - সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের জন্য ভিসা-মুক্ত নীতি কার্যকর করবে। এর মধ্য দিয়ে সক্রিয়ভাবে উন্মুক্তকরণের একটি সংকেত ও সংকল্প প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৩ সালে, চীন ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে এক-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে। ‘চীন ইঞ্জিন’ এখনও শক্তিশালী। বর্তমানে, চীনের সামগ্রিক শুল্ক স্তর উন্নত দেশগুলোর স্তরে দাঁড়িয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ প্রবেশের ক্ষেত্রে নেতিবাচক তালিকায় আইটেম সংখ্যা একত্রিশে নেমে এসেছে, উত্পাদন শিল্পে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে, পরিষেবা শিল্পের উন্মুক্তকরণ দ্রুততর হয়েছে, এবং বিদেশি বিনিয়োগে লাভের হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন বিশ্বকে উপকৃত করছে।
বিশ্বকে একটি আরও ভালো জায়গা হিসাবে গড়ে তোলা চীনের আকাঙ্খা ও দায়িত্ব। বিশ্ব যখন অস্থিরতা ও পরিবর্তনের একটি নতুন সময়ে প্রবেশ করছে, বিভিন্ন দেশ মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার গুরুত্ব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমানভাবে সচেতন হচ্ছে, তখন ‘স্থিরকারী’র হিসাবে চীনের ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালের বসন্তে, চীনের দুই অধিবেশনের বার্তা বিশ্বে বসন্ত নিয়ে আসবে এবং বিশ্বকে স্থিতিশীল হতে এবং আরও ভাল হতে সাহায্য করবে।