সংবাদ পর্যালোচনা: বিশ্বকে একটি সুস্পষ্ট সংকেত পাঠিয়েছে ওয়াং ইর সংবাদ সম্মেলন
স্থিতিশীলতা উন্নয়নের ভিত্তি। বর্তমানে, কয়েকটি প্রধান পশ্চিমা দেশ একতরফাবাদ এবং সংরক্ষণবাদ অনুসরণ করছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করেছে এবং বিশ্বে অশান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈশ্বিক কৌশলগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রধান দেশগুলো প্রধান দায়িত্ব বহন করে। সংবাদ সম্মেলনে চীন-যুক্তরাষ্ট্র, চীন-ইউরোপসহ অন্যান্য বড় দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা হয়। চীনকে দমন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিজ্ঞাসা করা চারটি প্রশ্ন হোক বা চীনের প্রতি ইউরোপের বিরোধী অবস্থানের রূপক হিসাবে ‘একই সময়ে লাল, হলুদ ও সবুজ বাতি জ্বলছে’ হোক, চীনের বিবৃতিগুলো অকপট। যেমন ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয়ের জন্য লাভজনক সহযোগিতা হওয়া উচিত’, ‘যতদিন পর্যন্ত চীন ও ইইউ পারস্পরের জন্য কল্যাণকর সহযোগিতা করবে, ততদিন দুটি বিবদমান শিবির গঠিত হবে না’। সংশ্লিষ্ট মন্তব্য প্রাসঙ্গিক দেশগুলোর বিবেচনার যোগ্য।
মানুষের কী ধরনের আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা প্রয়োজন? চীনের উত্তর হলো: একটি সমতাভিত্তিক ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্ব এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ব্যাপক উপকারী অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন। এটি একটি বৈশ্বিক শাসন পরিকল্পনা, যা চীন দ্বারা সমর্থিত, যা সময়ের উন্নয়নের ধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর সাধারণ আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। এই পরিকল্পনায় উপর ভিত্তি করে, কিছু দেশ খাবারের টেবিলে বসে, কিছু দেশ শুধুমাত্র মেন্যুতে থাকতে পারে তা হবে না। তাছাড়া শিবির দ্বন্দ্ব, একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদ চলবে না। বরং জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মধ্যে কাজ করতে হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিসর বড় করতে হবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে ভাগাভাগি করতে হবে, যাতে সাধারণ উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়।