সংবাদ পর্যালোচনা: বিশ্বকে একটি সুস্পষ্ট সংকেত পাঠিয়েছে ওয়াং ইর সংবাদ সম্মেলন
মার্চ ৮: চীন বিশ্বকে কীভাবে দেখে? কীভাবে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করে? মার্চ মাসে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দুই অধিবেশনের সংবাদ সম্মেলনে চীনা ও বিদেশি সাংবাদিকদের ২১টি প্রশ্নের উত্তর দেন, যেখানে বড় দেশগুলোর সম্পর্ক, আঞ্চলিক ইস্যু এবং বৈশ্বিক শাসনের মতো অনেক বিষয় ছিল। এর উদ্দেশ্য বাইরের বিশ্ব যেন চীনের অবস্থান এবং চীনের দায়িত্বগুলো আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বহির্বিশ্ব একটি স্পষ্ট সংকেত পেয়েছে: চীন তার নিজস্ব স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বিশ্বকে আরও নিশ্চিয়তা প্রদান করছে।
"চীন দৃঢ়ভাবে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হবে।" অনেক বিদেশি সংবাদমাধ্যম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিবৃতিকে চীনের কূটনীতির ঘোষণা হিসাবে উল্লেখ করেছে।
শান্তিই প্রথম অগ্রাধিকার। বর্তমানে, ইউক্রেন সংকট চলমান রয়েছে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়লের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়েছে। চীনের সংস্কৃতিতে শান্তি একটি মূল বিষয়। একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে চীন কেবল তার নিজস্ব নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার আশা করে না, বরং বিশ্ব শান্তির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ২০২৩ সালে, সৌদি আরব ও ইরানকে মিলিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ইউক্রেন সঙ্কটে মধ্যস্থতা, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ২৭১২ প্রস্তাব গৃহীত হওয়া পর্যন্ত, অনেকে চিন্তা করছে শান্তি বজায় রাখতে কীভাবে চীন সক্ষম হতে পারে?
এই সংবাদ সম্মেলনে, সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে চীনের ৪টি নীতির কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, রাজনৈতিক মীমাংসার উপর জোর দেওয়া, বস্তুনিষ্ঠতা ও ন্যায্যতার উপর জোর দেওয়া এবং সমস্যা ও সমস্যার মূল উভয়ের সমাধানের উপর জোর দেওয়া। এই চারটি নীতি হলো চীনের অনুশীলন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং এতে ঐতিহ্যগত চীনা জ্ঞানও রয়েছে। ব্রিটেনের ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকা বলেছে, ইউক্রেন-সম্পর্কিত সংকট সমাধানে চীনের প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধ শেষ করার উপায় সম্পর্কে সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে উদ্দীপিত করেছে’।