যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা কীভাবে কাজে লাগায় – তা দেখছে বিশ্ব: সিএমজি’র সম্পাদকীয়
অক্টোবর ৩১: মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো গতকাল (বুধবার) বেইজিংয়ে তার চার দিনের সফর শেষ করেছেন। এ বছরের জুন মাস থেকে চীন সফরকারী চতুর্থ মার্কিন রাজনীতিক তিনি। এবারের সফরকালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘নতুন যোগাযোগের চ্যানেল গড়ে তোলার’ যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ কমানোর জন্য সহায়ক বলে মনে করে আন্তর্জাতিক জনমত।
রাইমন্ডো নিজেই বহুবার স্পষ্টভাবে ‘চীনের সঙ্গে যেসব সম্ভাবনা এখনও কাজে লাগানো হয়নি সেগুলো কাজে লাগানো’ এবং চীনে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুঁজি বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একজন বিশেষজ্ঞ সিএমজি’র সম্পাদকীয়তে বলেছেন, ‘নতুন যোগাযোগ চ্যানেল’ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও যোগাযোগ ও বিনিময়ের জন্য সহায়ক হবে, তবে এটা সত্যিকারভাবে ভূমিকা পালন করবে কি না তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তব পদক্ষেপের ওপর।
এর আগে তিনজন মার্কিন রাজনীতিকের চীন সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান অবলম্বন করে, তার দিকে তাকালে দেখা যায় আন্তর্জাতিক জনমতের এমন ধরনের সন্দেহ পোষণ খুবই স্বাভাবিক। যেমন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত জুন মাসে চীন সফরের সময় স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বালি দ্বীপে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের চিহ্নিত কার্যক্রম পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এবং বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ চায় না, চীনের ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে জোট শক্তিশালী করতে চায় না, ‘তাইওয়ান স্বাধীনতা’ সমর্থন করে না এবং চীনের সাথে সংঘাত ও সংঘর্ষের কোনো ইচ্ছা নেই - এমন ‘চারটি না এবং একটি অনিচ্ছা’ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত দুই মাসে চীনের তাইওয়ান অঞ্চলের উপ-প্রধান লাই ছিং তে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রানজিট করেছে এবং সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে কাছে সামরিক অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে এবং চীনে মার্কিন পুঁজি বিনিয়োগের নিয়ন্ত্রণ করেছে। এসব আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। সুতরাং, রাইমন্ডোর মনোভাব কতটুকু কাজে লাগবে, তা এখনো দেখার বিষয়।