বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা কীভাবে কাজে লাগায় – তা দেখছে বিশ্ব: সিএমজি’র সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-08-31 13:27:09
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

যুক্তরাষ্ট্রের ‘চীনের সঙ্গে যেসব সম্ভাবনা এখনও কাজে লাগানো হয়নি’, সেগুলো কাজে লাগানো হবে বলে আশা করে মানুষ। এটি কেবল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রকৃতির সঙ্গে জড়িত তা নয়; বরং দু’দেশের শিল্প ও বাণিজ্য মহলের বাস্তব চাহিদা পূরণের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এটি চীনা ও মার্কিন অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর হবে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করা উচিত?

ওয়াশিংটনের সঠিক চূড়ান্ত নীতি নির্ধারণ করতে হবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রকৃতি হচ্ছে পারস্পরিক কল্যাণ। এতে কারোর ক্ষতি বা অসুবিধার সুযোগ নেই।

২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে আসছে, তবে ২০২২ সালে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা এক নতুন রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্য পরিষদ-প্রকাশিত ‘চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি রিপোর্ট-২০২৩’-এ বলা হয়, চীনে মার্কিন রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এতে আরও বলা হয়, ৭০ হাজারেরও বেশি মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চীনে বিনিয়োগ করেছে, যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই লাভ করেছে। সিএনএনের নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয়, চীনে বিশাল উত্পাদন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এবং এটি বেশি নির্ভর করে চীনা ভোক্তাদের ওপর।

এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাতের গভীর সম্পর্কোন্নয়ন এবং পারস্পরিক আর্থ-বাণিজ্যিক কল্যাণের স্বাক্ষর। এছাড়া এটি যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও বাণিজ্য মহলে চীনের সঙ্গে ‘কাজে না লাগানো সম্ভাবনা’ কাজে লাগাতে রাজি না হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, চীন সফর আগে রাইমন্ডো বাণিজ্য মহলের ১৫০জন নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগে আগ্রহী তাঁরা। চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়, আগামী দুই বছরে ৬৬ শতাংশ মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনে বিনিয়োগ বজায় রাখবে বা পুঁজি বাড়াবে। মার্কিন শিল্প ও বাণিজ্য মহলের কণ্ঠ মার্কিন নির্ধারকদের মনোযোগ দিয়ে শোনা দরকার।

আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষাকারী ব্যালাস্ট পাথর। ‘নতুন যোগাযোগ চ্যানেল’ গড়ে তোলার এই নতুন সূচনায় যুক্তরাষ্ট্র সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতা দেখাবে, দুদেশ একে অপরের দিকে থাকবে, যাতে তাদের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনকে এগিয়ে নেওয়া যায়। রাইমন্ডোর চীন সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, তার ওপর নজর রাখছে গোটা বিশ্ব।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn