চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে অবিচল থাকবে সলোমন প্রধানমন্ত্রী: সিএমজি সম্পাদকীয়
জুলাই ১৫: ‘এটি একটি শিক্ষনীয় উদাহরণ”। গত ১৩ জুলাই সলমোন দ্বীপপুঞ্জের পপ্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারে চীনের চিয়াং সু প্রদেশ সফর করেন। তিনি হুয়াং লুয চিয়ান চা সংস্কৃতি গ্রাম পরিদর্শনর সময় চা সংস্কৃতি ও পাহাড় ও পানি সম্পদ কাজে লাগিয়ে দরিদ্র গ্রামকে চীনের সুন্দর গ্রামে পরিণতির গল্প শুনে এ কথা বলেছেন। তার পরবর্তী সফরের গন্তব্য কুয়াং তোং প্রদেশ। এ প্রদেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে চীনের সবচেয়ে কাছের একটি প্রদেশ। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের অনেক চীনা অভিবাসন কুয়াং তোং প্রদেশের চিয়াং মেন শহর থেকে আসেন। ২০১৯ সাল থেকে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারের দ্বিতীয় চীন সফর। সফরকারে চীন ও সলোমন নতুন যুগে পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও অভিন্ন উন্নয়নভিত্তিক সার্বিক কৌশলগত অংমীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং চীনে সলোমনের দূতাবাস চালু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অবিচল থাকবে। তার দেখা ও অভিজ্ঞতা থেকে অবিচল থাকার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল(শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গত ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারের সঙ্গে বৈঠকের সময় সি চিন পিং বলেন, চীন চারটি পর্যাপ্ত সম্মান করার নীতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্ছলের দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করবো। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দীর্ঘকালে সেসব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের অবলম্বন বরাবরই নীতি। যার মুল বিষয় সমতাসম্পন্ন সহাবস্থান, সহযোগিতামূলক উপকারিতা, সংস্কৃতির অভিন্ন সমৃদ্ধ এবং সহনশীলতার সঙ্গে যৌথ প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারে বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সলোমনের সঠিক সিদ্ধান্ত। চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের চাহিদাকে সম্মান করে এবং অন্য বড় দেশ থেকে আলাদা।