বাংলা

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে অবিচল থাকবে সলোমন প্রধানমন্ত্রী: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-07-15 19:03:36
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুলাই ১৫: ‘এটি একটি শিক্ষনীয় উদাহরণ”। গত ১৩ জুলাই সলমোন দ্বীপপুঞ্জের পপ্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারে চীনের চিয়াং সু প্রদেশ সফর করেন। তিনি হুয়াং লুয চিয়ান চা সংস্কৃতি গ্রাম পরিদর্শনর সময় চা সংস্কৃতি ও পাহাড় ও পানি সম্পদ কাজে লাগিয়ে দরিদ্র গ্রামকে চীনের সুন্দর গ্রামে পরিণতির গল্প শুনে এ কথা বলেছেন। তার পরবর্তী সফরের গন্তব্য কুয়াং তোং প্রদেশ। এ প্রদেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে চীনের সবচেয়ে কাছের একটি প্রদেশ। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের অনেক চীনা অভিবাসন কুয়াং তোং প্রদেশের চিয়াং মেন শহর থেকে আসেন। ২০১৯ সাল থেকে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর এটি প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারের দ্বিতীয় চীন সফর। সফরকারে চীন ও সলোমন নতুন যুগে পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও অভিন্ন উন্নয়নভিত্তিক সার্বিক কৌশলগত অংমীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং চীনে সলোমনের দূতাবাস চালু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অবিচল থাকবে। তার দেখা ও অভিজ্ঞতা থেকে অবিচল থাকার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল(শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গত ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারের সঙ্গে বৈঠকের সময় সি চিন পিং বলেন, চীন চারটি পর্যাপ্ত সম্মান করার নীতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্ছলের দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করবো। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দীর্ঘকালে সেসব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের অবলম্বন বরাবরই নীতি। যার মুল বিষয় সমতাসম্পন্ন সহাবস্থান, সহযোগিতামূলক উপকারিতা, সংস্কৃতির অভিন্ন সমৃদ্ধ এবং সহনশীলতার সঙ্গে যৌথ প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী মেনসি সোগাভারে বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সলোমনের সঠিক সিদ্ধান্ত। চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের চাহিদাকে সম্মান করে এবং অন্য বড় দেশ থেকে আলাদা।

এবারের সফলের দুদিন আগে বৃটেন থেকে মুক্তকরণের ৪৫ বছর বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় মেনসি সোগাভারে দেশের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে জোর দিয়ে বলেন। তাই চীন সফরকালে উন্নয়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চার বছরে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ বর্তমানে দ্রুত উন্নত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে উপকৃত হয়েছে। বর্তমানে চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, বৃহত্তম রপ্তানিকারক গন্তব্য দেশ। চীনে সলোমনের রপ্তানি পরিমাণ তার মোট পরিমাণের তিন ভাগের দু ভাগ ছাড়িয়েছে। চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চীনের সহযোগিতাসহ নানা ক্ষেত্রে সলোমনও সুযোগ ভোগ করছে। সফরকালে দু’দেশ সহযোগিতা, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান যোগাযোগ, কাস্টমস এবং জলবায়ুসহ নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাস্তব সহযোগিতাকে আরও গভীরতর করে যাবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn