মিথ্যা আইনের কারণে সংকটে পড়বে খোদ যুক্তরাষ্ট্র: সিএমজি সম্পাদকীয়
জুন ২২: গতকাল (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্র কথিত ‘উইগুর জাতির বাধ্যতামূলক শ্রম প্রতিরোধ আইন’ কার্যকর করেছে। এ মিথ্যা আইনে বাধ্যতামূলক শ্রমে উত্পাদিত নয় বলে প্রমাণিত না হলে চীনের সিনচিয়াং থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সিনচিয়াংয়ের মানবাধিকারকে অপমান করেছে। এটি মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগের মার্কিন নতুন কর্মকান্ড। যার লক্ষ্য সিনচিয়াংয়ের তুলা, টমেটো এবং সৌরশক্তিসহ নানা সুবিধাজনক শিল্পকে দমন করা এবং চীনের উন্নয়ন রোধ করা। তবে দেশটি দ্রুত লক্ষ্য করবে যে, সে সব অবরোধের ফলাফল তারা নিজেরাও বহন করবে। গতকাল চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, কথিত বাধ্যতামূলক শ্রম পুরোপুরি চীন-বিরোধী শক্তির তৈরি মিথ্যাচার। তুলা উত্পাদন দিয়ে উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে যে, সিনচিয়াংয়ে তুলা রোপনের সময় অধিকাংশ অঞ্চলে যন্ত্র ব্যবহারের হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে রোপণ যন্ত্র এমনকি পেই তৌ নেভিগেশন ব্যবস্থা স্থাপিত আছে এবং তাতে কোনো চালক থাকে না। তাই, বাধ্যতামূলক শ্রমের কথা কিভাবে আসলো? সম্প্রতি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া ব্র্যান্ড স্কেচারসের চীনে উত্পাদিত কিছু জুতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অফিসে আটকা পড়েছে। ফলে স্কেচারসের স্বাধীন তদন্তকারীরা এ নিয়ে তদন্ত করেছে। এসময় তারা চীনের সহযোগী কোম্পানিতে কোনো বাধ্যতামূলক শ্রমের প্রমাণ পায়নি। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণ মতে, ঊনবিংশ শতাব্দিতে দেশটিতে বাগান মালিকরা কালো দাসদের তুলা সংগ্রহে বাধ্য করার ইতিহাসের কারণে বর্তমান সিনচিয়াং নিয়ে এভাবে ভাবছে মার্কিন কিছু লোক। এটি একেবারেই অযৌক্তিক।
আসলে সিনচিয়াংয়ে কর্মসংস্থানের অবস্থা কেমন? এ সম্পর্কে মার্কিন রাজনীতিকরা একদম দৃষ্টি রাখে না। তারা কেবল চায়, মানবাধিকারের অজুহাতে মিথ্যাচার করে চীনকে অপমান করতে এবং সিনচিয়াংয়ের অগ্রসর শিল্পকে দমন করতে। তারা চায় বিশ্বজুড়ে সরবরাহ-চেইন থেকে সিনচিয়াং এমনকি পুরো চীনকে বাদ দিতে, যাতে সিনচিয়াংয়ের মধ্য দিয়ে চীনকে রোধ করা যায়। সম্প্রতি কোনো কোনো গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন এক কর্মকর্তা একটি অনুষ্ঠানে স্বীকার করে বলেছেন, সিনচিয়াংয়ে বাধ্যতামূলক শ্রম, গণহত্যা এবং মানবাধিকার নিয়ে দোষারোপ করা একটি কার্যকর পদ্ধতি, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য চীনকে সংকটে ফেলে দেওয়া।