মিথ্যা আইনের কারণে সংকটে পড়বে খোদ যুক্তরাষ্ট্র: সিএমজি সম্পাদকীয়
যুক্তরাষ্ট্র কি তার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবে? বিশ্লেষকদের মতে, কথিত উইগুর জাতির বাধ্যতামূলক শ্রম প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে এবং বিশ্ব শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা লঙ্ঘন হয়েছে। সিনচিয়াংয়ের কিছু বাণিজ্যিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। তবে চীনের উন্নয়ন রোধ করা অসম্ভব।
সিনচিয়াংয়ের তুলা থেকে জানা যায়, একদিকে, চীনের নিজস্ব উন্নত বস্ত্রশিল্প রয়েছে। তুলার চাহিদা অনেক বেশি। ২০২১ সালে তুলা আমদানির পরিমাণ ২৩ লাখ ৪২ হাজার টন ছাড়িয়েছে। তাতে বলা হয়, চীনে পর্যাপ্ত বাজার রয়েছে। অন্যদিকে, সিনচিয়াংয়ের তুলার গুণ বিশ্বের শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বিশ্বের অনেক বড় ব্র্যান্ড স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, সিনচিয়াং বরাবরই উন্মুক্ত পথে অবিচল রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে সিনচিয়াংয়ে বৈদেশিক আমদানি রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭,৪১০ কোটি ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০.৯ শতাংশ বেশি। তাতে স্পষ্ট যে, বিশাল চীনা বাজার ও বিশ্ব বাজারের চাহিদা সিনচিয়াংয়ের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সুযোগ তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দরজা বন্ধ করলেও সিনচিয়াংয়ের পণ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।
বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র এ মিথ্যা বিলের কারণে সংকটে পড়তে পারে। মার্কিন শ্রম অধিকার সমিতি অনুমান করে জানায়, মার্কিন ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতিবছর ২,০০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ১৫০ কোটি সিনচিয়াংয়ের ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি পোষাক আমদানি করে। মার্কিন পলিটিকো ওয়েবসাইটের মতে, বিলটি কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা এবং প্রস্তুতকারকদের ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। কোনো কোনো বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পোষাক শিল্পে ব্যাপক আঘাত আসবে।