চীন-লাতিন আমেরিকা সহযোগিতা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
মেক্সিকোর বাণিজ্য মহলের জন্য চীনা বাজারের অনেক আকর্ষণীয় শক্তি আছে। ক্যাডেনা বললেন, চীনের বিরাট অর্থনৈতিক মাত্রা আছে। মেক্সিকো চীনে আরো বেশি পরিষেবা বিশেষ করে, লজিস্টিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থ, আইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিষেবা রপ্তানি করতে চায়।
মেক্সিকোর লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান লুয়াল কার্গোর চীনা অঞ্চলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ওমর ওলিজুয়েলা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো-চীন বাণিজ্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধি হয়েছে। সংখ্যা ও রকম থেকে চীন থেকে আমদানি করা পণ্য কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক পণ্য ও ঘরে ব্যবহার্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অর্ডারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান মেক্সিকোয় কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। ফলে, লজিস্টিক চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইকুয়েডর হলো চীনের সার্বিক কৌশলগত অংশীদার এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ সহযোগী দেশ। চলতি বছরের ১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর চীন-ইকুয়েডর অবাধ বাণিজ্য চুক্তি দু’দেশের বাণিজ্যিক বিনিয়োগের অবাধকরণ ও সুবিধাকরণ মান উন্নীত করে, অধিকতরভাবে বাণিজ্যিক বিনিয়োগের সহযোগিতামূলক সুপ্তশক্তি উদ্দীপ্ত করে, পরিষেবা বাণিজ্যে সহযোগিতা বেগবান করার জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে আসে।
পরিষেবা বাণিজ্য মেলা চলাকালে চীনে নিযুক্ত ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত ইতিবাচকভাবে চীনা টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ করার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে দেশটির উন্নয়ন বেগবান করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি দূতাবাস চীনের উচ্চপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও চীনে ইকুয়েডর প্রতিভা বিনিময় সভার আয়োজন করে, চীনের অগ্রণী এআই প্রযুক্তি কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি উন্নয়ন, স্থাপনা নির্মাণ ও শিল্প-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইকুয়েডর-চীন উদ্ভাবন সহযোগিতা শক্তি যোগানো নিয়ে আলোচনা করেছে।